কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পর গতকাল মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো প্রসূতির অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে। বেলা একটায় জোবেদা আক্তার নামের এক প্রসূতি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
বিনা মূল্যে এই সেবা দিতে পেরে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা খুশি।
জানতে চাইলে সিভিল সার্জন মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এত দিন যন্ত্রপাতি–সংকটের কারণে এই সরকারি হাসপাতালে প্রসূতির অস্ত্রোপচার করা যায়নি। এখন থেকে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন হবে। সরকার চিকিৎসাসেবা মানুষের অতি কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। এরই সুফল পাবেন হোমনা উপজেলার বাসিন্দারা। এখন আর কাউকে জেলা শহরে আসতে হবে না। বিনা মূল্যে এই সেবা আমরা দিচ্ছি। দরিদ্র প্রসূতিরা এই সেবা পাবেন।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অপারেশন থিয়েটারের অভাবে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচার করা যেত না। ৪০ বছর পর যন্ত্রপাতি এনে অস্ত্রোপচারকক্ষ ঠিক করা হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামের গৃহবধূ জোবেদা আক্তার। তিনি এই প্রথম মা হতে চলেছেন। ভয় আর উত্কণ্ঠা নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জোবেদাকে এখানে ভর্তি করেন। বেলা একটায় অস্ত্রোপচারে তাঁর কন্যাসন্তান হয়।’
১৯৭৯ সালের ১৯ জুলাই এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রসূতি নারীদের অস্ত্রোপচারের সুযোগ ছিল না। ১৫ দিন আগে এখানে অপারেশন থিয়েটারটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরফরাজ হোসেন খান (অবেদনবিদ), আখতার আলম (সার্জন), চিকিৎসক সুব্রত, সিনিয়র নার্স জাহানারা, জেসমিন আক্তার, রুমি আক্তার, ওটি বয় মনির হোসেন ও রুহুল আমিনের সহযোগিতায় গতকাল বেলা একটায় সফলভাবে ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচার হয়।