দেশব্যাপী ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাবের সুযোগে মশা তাড়ানোর বিভিন্ন সামগ্রী তিন-চার গুণ দামে বিক্রি করে আসছিল রাজধানীর বেশ কয়েকটি ফার্মেসি। আজ রবিবার ৪ আগস্ট ক্রেতা সেজে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার কিছু ফার্মেসিতে অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পেয়ে যান হাতেনাতে প্রমাণ।
মানবদেহে মশক প্রতিরোধী মলম ওডোমসের নিয়মিত বাজার মূল্য ১২৫ টাকা। কিন্তু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের সুযোগ অসাধু ব্যবসায়ীরা এই মলমটি বিক্রি করছিল ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়! এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ক্রেতা সেজে আজ কলাবাগানের কিছু ফার্মেসিতে অভিযান চালান। অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে এ অভিযানে অংশ নেন সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান, আব্দুল জব্বার মন্ডলসহ অন্য কর্মকর্তারা।
অভিযানে তারা প্রমাণ পান যে, অভিযোগ যথার্থ। বেশকিছু ফার্মেসি ঠিক দামে ওডোমস বিক্রি করলেও অন্তত তিনটি ফার্মেসিতে বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা যখন ক্রেতা সেজে ওষুধ কিনেছি তখন ফার্মেসিগুলো আমাদের কোনো রসিদ দেয়নি। এটাও একটি অপরাধ। এরপর তিনটি ফার্মেসিতে বেশি দামে ওডোমস বিক্রি হতে দেখেছি আমরা। ১২৫ টাকায় কেনা অডোমস ৩০০ টাকা, ৩৫০ টাকা এমনকী ৫০০ টাকায়ও বিক্রি করছেন কেউ কেউ। এটা তো হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে একটি সমস্যা তৈরি হলে কিছু ব্যবসায়ী এভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন, পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন- এগুলো তো মানা যায় না। তাই আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করছি। এখানে দেশ ফার্মেসি, সুইস ফার্মেসি ও মাই ফার্মেসিতে আমরা বেশি দামে ওডোমস বিক্রি হতে দেখেছি। ফার্মেসিগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছি। সোমবার মালিকদের আমাদের অফিসে ডেকেছি। জরিমানা তো হবেই, সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা সিদ্ধান্ত হবে।’
অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে এভাবে মানুষ ঠকিয়ে যেতে না পারে সেজন্য জনগনকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তিনি এমন অনিয়ম চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেন। প্রিয় পাঠক, ভোক্তা অধিকারের বিষয়ে অনলাইনে অভিযোগ করতে হলে এই লিংকে প্রবেশ করুন। ঠিক সময়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।