এডিস মশার বংশবিস্তার সহায়ক পরিবেশ পাওয়া গেলেই জরিমানা ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন দপ্তর, স্থাপনা, বাসা-বাড়ি পরিদর্শন করছি, আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণও তৎপর আছেন। যেখানেই অপরিচ্ছন্নতা, নাগরিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং এডিস মশার বংশবিস্তার সহায়ক পরিবেশ পাওয়া যাবে সেখানেই জরিমানা ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ রবিবার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের সানবীম স্কুলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) আয়োজিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন।
ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদেরকে সুনাগরিক হতে হবে। একজন সুনাগরিক কখনো রাষ্ট্রের ক্ষতি করে না, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে না, ভূমি দখল করে না, নদী-খাল দখল করে না।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিয়ে নগরীকে পরিছন্ন রাখা সম্ভব নয়। ডিএনসিসি জনবল বাড়াচ্ছে, সাথে সাথে নাগরিকদেরকে সচেতন হতে হবে। যথাস্থানে ময়লা ফেলার অভ্যাস করতে হবে। নিজ নিজ আবাসস্থল, এলাকা, এলাকার জলাধার নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে। কোনো স্থানেই ৩ দিনের বেশি পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
নিজেও ছাত্রজীবনে একজন বিএনসিসি ক্যাডেট ছিলেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বিএনসিসির ক্যাডেটরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবে।
আধুনিক ও উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএনসিসি সচেষ্ট রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাগরিকদের দ্রুত ও উন্নত সেবা দিতে ডিএনসিসি বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করছে। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মটরসাইকেলে মশক নিধন যন্ত্র স্থাপন করে দ্রুততম সময়ে অধিক এলাকায় মশার ঔষুধ প্রয়োগ করছি। এতে সময় ও লোকবল দুটিই সাশ্রয় হচ্ছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে মানসিক ও চিন্তাধারায় উন্নত ও আধুনিক হবার আহ্বান জানান।
পরে মেয়র বিএনসিসির উত্তরা ১০ ও ১১ নং সেক্টরের মাঝের খাল পরিষ্কার কাজ পরিদর্শন করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএনসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল বাতেন খান, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।