মশা নিধনের জন্য সময়মতো কেন কার্যকরী ওষুধ কেনা হয়নি, এই ব্যর্থতা দুই সিটি কর্পোরেশনের বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিবেদন নিয়ে শুনানিতে এমন মন্তব্য করেছেন আদালত।
তবে, বিশেষ বিমানে করে মশা নিধনের নতুন ওষুধের নমুনা আজকের মধ্যে দেশে আসবে বলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবীরা হাইকোর্টকে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, ওই নমুনা ওষুধের কার্যকারীতার ওপর মহাখালীর একটি ল্যাবরেটরিতে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা চালানো হবে বলেও জানান তারা।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়াদীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এমন মন্তব্য করেন। এর আগে, আইনজীবীরা মশার কার্যকরী ওষুধ আনা হচ্ছে বলে তথ্য দেন।
আদালতে আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফাইরোজ।
এর আগে, গত ২৫ জুলাই ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিয়ে এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে, এই সময়ের মধ্যে ওষুধ ব্যবহারে মশা নিধনের হয়েছে কিনা সে বিষয়েও প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।
কিন্তু মশা নিধনে কার্যকরী ফলাফল না পাওয়ায় গত ৩০ জুলাই এডিস মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ কবে দেশে আসবে তা সরকার এবং ঢাকার উভয় সিটি কর্পোরেশনকে আজ নির্ধারিত দিনে বৃহস্পতিবার (আগস্ট ০১) মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় ওষুধের বিষয়ে দুই সিটির কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়।
এর আগে, গত ১৪ জুলাই আদালত তার আদেশে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানাতে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে নাগরিকদের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে এবং এডিস মশা নির্মূলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।
পরে ওই বিষয়ে দুই সিটির পক্ষ থেকে গত ২২ জুলাই হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু সে প্রতিবেদনে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তলব করার পর গত ২৫ জুলাই তারা স্বশরীরে হাজির হয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দেন। তার পর শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেন।