ঈদ-উল-আজহার ছুটিতে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষ ছুটি কাটাবেন গ্রামের বাড়িতে। ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে বাড়ি গেলে তা গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এমন আশঙ্কা থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীবাসীকে বাড়ি যাওয়ার আগে রক্ত পরীক্ষা করতে বলেছেন। খবর বাংলা নিউজের।
বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৩০ জুলাই লন্ডন থেকে নির্দেশনা দিয়েছেন- ‘ঢাকা থেকে যারা ঈদ উদযাপন করার জন্য বাইরে যাবেন, তারা যেন নিজেদের রক্ত পরীক্ষা করে যান। কারণ তারা যদি ডেঙ্গু নিয়ে বাইরে যান, তাহলে বাইরে অনেক বেশি এটি বিস্তার লাভ করবে।’ এইচটি ইমাম বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়টি আমরা অনুধাবন করি। এটি নিয়ে প্রত্যেক দিন আলোচনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলি। মেয়র কী করলেন, না করলেন তার চেয়ে বড় কথা তার অধীনস্থ কর্মচারী-কর্মকর্তারা কী করছেন। তাদের খোঁজ খবর নেয়া, ওষুধ ঠিকমতো দেয়া হয় কিনা, ওষুধ ছাড়াও সবচেয়ে বড় জিনিস এসব ক্ষেত্রে জনসচেতনা বাড়ানো। প্রত্যেকের সচেতন হতে হবে। প্রত্যেকে বাড়িতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন কিনা, সেটি সরকারের দায়িত্ব না। এটা আপনাকে করতে হবে। এই জিনিসটি প্রত্যেক নাগরিককে বুঝিয়ে দেয়া দরকার।
‘নাগরিক দায়িত্ববোধ আসতেই হবে। প্রথম থেকেই ব্যাপকভাবে আমরা দেখছিলাম প্রচার হচ্ছিল না। এখন বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে প্রথম প্রচার হওয়ার পর অন্য টেলিভিশনও এখন ব্যাপক প্রচার করছে। ডাক্তাররা কী বলছেন, কোথায় এটি জন্মায় এটি জানাতে হবে। আতঙ্ক বড় জিনিস। আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য অনেকে আবার এটা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অনেক কথা বলেন। এগুলো দেখার বিষয় আছে।’
সাংবিধানিকভাবে ‘বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা’ ॥ এদিকে বিশ^বিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, বঙ্গবন্ধুর বেলায় জাতির জনক প্রযোজ্য নয়, বিশেষ করে এটি বলা বেআইনীও বটে। সাংবিধানিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। বুধবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার: নন্দিত উদ্ভাবন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা জানান।
বঙ্গবন্ধু কর্নার মূলত এমন একটি জায়গা যেখানে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বিভিন্ন বই, ছবিসহ নানা জিনিস রয়েছে। সেখানে দর্শনার্থীরা তার ওপর রচিত বই পড়ে তার জীবন, ব্যক্তিত্ব, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দর্শন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন করা যাবে বাংলাদেশ ও এর সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহম্মদ শামস-উল-ইসলামের উদ্যোগে সর্বপ্রথম মৌলভীবাজার শাখায় বঙ্গবন্ধু কর্নার গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে আনসার-ডিডিপি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে, বৃহৎ পরিসরে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে স্থাপিত হয় এই কর্নার। এসব কিছুই ঠাঁই পেয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার, নন্দিত উদ্ভাবন’ শীর্ষক বইটিতে। রংধনু প্রকাশনীর উদ্যোগে প্রকাশিত এই বইতে বঙ্গবন্ধু কর্নার সম্পর্কে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা সংবাদ, কলাম, মন্তব্য ছাপানো হয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন একুশে পদকে ভূষিত কবি ও ঔপন্যাসিক অসীম সাহা।