হার্ট অ্যাটাকের পর জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত কার্ডিয়াক পালমোনারি রিসাসসিটেশন (সিপিআর) পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। বিশ্বের উন্নত দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এ পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত। তবে আমাদের দেশে এ পদ্ধতি জানার সংখ্যা কেবলই হাতেগুনা। কিন্তু জীবন রক্ষা করতে এ পদ্ধতি জানা জরুরি। আজ চট্টগ্রাম নগরের এপিক হেলথ কেয়ার কনফারেন্স হলে দুই দিনব্যাপী ‘হ্যান্ডস অন সিপিআর’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মেডিকেল শিক্ষার্থী ছাত্রছাত্রী ও চিকিৎসকদের সংগঠন ইয়াং সোশ্যাল এক্টিভিজম বাংলাদেশ (ওয়াই স্যাব) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন কনসালটেন্ট এনেস্থেসিওলজিস্ট ডা. মিজান উদ্দিন ইমরান এবং ডা. নাদিম হায়দার। কর্মশালায় নগরীর বিভিন্ন মেডিক্যালের ২২জন তরুণ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মো. বদরুদ্দোজা, জনস্বাস্থ্য ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আসিফ খান, মোডাস ইন্টারন্যাশনালের চট্টগ্রাম রিজিওনাল ম্যানেজার মো. সেলিম জাহাঙ্গীর ও ওয়াই স্যাব’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ।প্রফেসর ডা. মো, বদরুদ্দোজা বলেন, ‘সিপিআর ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্টে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ পদ্ধতি তিন মিনিটের মধ্যে প্রয়োগ করতে পারলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। এজন্য সবাইকে সিপিআর দেয়া শিখতে হবে।
এটি জানা থাকলে আপদকালীন আক্রান্ত রোগীদের বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা যায়। ওয়াই স্যাব এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের ওপর এ আয়োজন করায় তারা প্রশংসার দাবির্দা ভবিষ্যতে তরুণ চিকিৎসকদের জন্য এমন আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে, এমনটি প্রত্যাশা।’
সূত্রঃ জনকণ্ঠ