দীর্ঘদিন সিজার অপারেশন বন্ধ থাকার পর শনিবার দুপুর থেকে বিনামূল্যে সিজার অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে জেলার উত্তর জনপদের গুরুত্বপূর্ণ গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে। সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে সিজার অপারেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সন্তানসম্ভবা দরিদ্র পরিবারের নারী ও তাদের পরিবারদের মাঝে স্তস্তি ফিরে এসেছে।
শনিবার দুপুরে সিজারিয়ানের মাধ্যমে কন্যা সন্তান জন্ম দেয়া উপজেলার মাহিলাড়া গ্রামের আয়শা আক্তারের স্বামী বায়েজিদ ইসলাম জানান, তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করার পর নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব না হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসক বিপুল বিশ্বাসের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক তার স্ত্রীর সিজার অপারেশন করেন। তিনি আরও জানান, বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সিজার করাতে প্রায় দশ হাজার টাকা ব্যয় হত। যা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে এই সুযোগ পেয়ে তিনি ও তার পরিবার চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। নবজাতক ও তার মা উভয়ে সুস্থ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ এফ এ হাসান জানান, দীর্ঘদিন যাবত অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও অপারেশনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি না থাকায় সিজারিয়ান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বর্তমানে চিকিৎসক ও সরঞ্জামাদি থাকায় আবারও সিজার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। সন্তানসম্ভবা কোন নারী হাসপাতালে ভর্তি হলে প্রথমেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান ভূমিষ্ঠ করাতে চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারিতে ব্যর্থ হলেই কেবল সিজার করা হবে।
সূত্রঃ জনকণ্ঠ