দশটি কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে সিসাসহ ভারী ধাতু এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকার অভিযোগে মামলা করেছে সরকারি সংস্থা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সংস্থার খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে স্থাপিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এই মামলা করেন।
কামরুল হাসান বলেন, দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ভারী ধাতবের উপস্থিতি পাওয়ায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ১০টি কোম্পানির বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে। আগামী মাসের বিভিন্ন তারিখে মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
অভিযুক্ত ১০ কোম্পানি হচ্ছে— বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা), বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক ( ডেইরি ফ্রেশ), ইগলু ডেইরি লিমিটেড, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক), আফতাব মিল্ক, শিলাইদহ ডেইরি লিমিটেড (আল্টা মিল্ক), আড়ং ডেইরি, প্রাণ মিল্ক লিমিটেড, ইছামতি ডেইরি লিমিটেড (পিওর), সেইফ মিল্ক।
হাইকোর্ট গত ১৬ জুলাই ১১টি প্রতিষ্ঠানের পাস্তুরিত তরল দুধের নমুনা পরীক্ষা করতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক ল্যাবে ১১টি প্রতিষ্ঠানের তরল দুধ পরীক্ষা করা হয়। বিএসটিআইর অনুমোদিত এসব কোম্পানির পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষার পর তিনটি প্রতিবেদন মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করা হয়। তবে একটির প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি।
পরীক্ষায় দুধে ‘ভারী ধাতব পদার্থ-সিসা’ পেয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বাজারে বিক্রি হওয়া খোলা দুধের নমুনায় কোনোটিতে ক্যাডমিয়ামের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, অধিকাংশ পাস্তুরিত দুধ কোম্পানি আইএসও স্ট্যান্ডার্ড না মেনেই পণ্য বাজারজাত করছে। আর জনস্বার্থ অধিদপ্তর তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ১৪টির মধ্যে ৯টিতে মিলেছে কলিফর্ম। কিছু কিছু দুধের নমুনায় পাওয়া গেছে ফরমালডিহাইড ও অক্সিটেট্রাসাইক্লিন। মানুষের শরীরে অতিরিক্ত সিসা বা ক্যাডমিয়াম জমা হলে স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে, রক্তের রোগ তৈরি হতে পারে, এমনকি কিডনি জটিলতা বা ক্যান্সারও দেখা দিতে পার
সূত্রঃ সমকাল