- সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে
- উপসর্গ ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চিকিৎসক
টেস্ট করানোর আগে বোঝা যাচ্ছে না ডেঙ্গুর উপসর্গ। স্বাভাবিক অবস্থার কিছুটা বেশি তাপমাত্রার জ্বরে আক্রান্ত অনেকের শরীরে ধরা পড়ছে ডেঙ্গুর জীবাণু। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরে দৃশ্যমান উপসর্গ দেখা যাওয়ার আগেই অনেক ডেঙ্গু রোগী শরীরের অভ্যন্তরীণ নানা জটিলতায় পড়ছে। ডেঙ্গুর উপসর্গ হিসেবে এতদিন জেনে আসা উপসর্গগুলো ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পরও রোগীটির চিকিৎসাসেবা শুরু করার পর্যায় ও ডেঙ্গুর ধরন নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন অনেক চিকিৎসক। এ বছর ডেঙ্গুতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে দেশ। বিগত বছরগুলোতে ডেঙ্গুর অঞ্চল বলতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি বিভাগীয় শহরকে বোঝানো হতো। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে।
মহামারি রূপ নিচ্ছে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ীই জ্যামিতিক হারে বাড়ছে দেশের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ২০ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। সোমবার এই সংখ্যা ছিল ১৭। ডেঙ্গু আক্রান্তের সোমবারের রেকর্ড ভেঙেছে মঙ্গলবার। অর্থাৎ সোমবার ৪০৩ জন এবং মঙ্গলবার ৪৭৩ নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৮ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। মারা গেছে ৬ জন। বেসরকারী হিসাবে ডেঙ্গু রোগী ও ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বহু গুণ বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ২৩ জলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বেসরকারী সূত্রসমূহ দাবি করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, এ বছর ডেঙ্গুর ধরন পাল্টে গেছে। টেস্ট করানোর আগে বোঝা যাচ্ছে না ডেঙ্গুর উপসর্গ। স্বাভাবিক অবস্থার কিছুটা বেশি তাপমাত্রার জ্বরে আক্রান্ত অনেকের শরীরে ধরা পড়ছে ডেঙ্গুর জীবাণু। শরীরে দৃশ্যমান উপসর্গ দেখা যাওয়ার আগেই অনেক ডেঙ্গু রোগী শরীরের অভ্যন্তরীণ নানা জটিলতায় পড়ছে। ডেঙ্গুর উপসর্গ হিসেবে এতদিন জেনে আসা উপসর্গগুলো ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, এবার তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রী থাকলেও ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। আর অধিকাংশ রোগীর র্যাশ দেখা যায় না, রক্তক্ষরণও হয় না। হাড়ে বা শরীরের সংযোগস্থলে ব্যথাও হয় না। ফলে অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত। তাই গুরুত্ব দেন না। জ্বর চলে যাওয়ার পরে প্লাটিলেট ভেঙ্গে ব্লাড প্রেসার দ্রুত হ্রাস পায়। ফলে এবার মৃত্যুর হার বেশি। এবারের ডেঙ্গু হেমোরেজিক নয়, শকড সিনড্রম। তাই অল্প বা বেশি যেকেন মাত্রার জ্বর হলেই অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ।
গতানুগতিক লক্ষণের থেকে এবারের লক্ষণগুলো ব্যতিক্রম বলেই জানালেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ শফী আহমেদ। তিনি বলেন, কম তাপমাত্রায় জ্বরে আক্রান্ত হয়েও অনেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হ”েচ্ছন। উপসর্গগুলো অনেক অদৃশ্যমান রয়ে যাচ্ছে। আগে ডেঙ্গুর লক্ষণ ছিল জ্বর আর মাথাব্যথা। চোখের পেছনে ব্যথা হতো, গায়ে র্যাশ দেখা দিত। তবে এবারের লক্ষণগুলো অন্যরকম। এবারে কারও তীব্র পেটব্যথা হচ্ছে, কারও হার্টের সমস্যা বেড়েছে। কারও ব্রেনে এফেক্ট করছে, লিভার বড় হয়ে যাচ্ছে বা পানি জমে যাচ্ছে। অন্য বছরের চাইতে এবারে এই জটিলতাগুলো অনেক। তাই অভিভাবকরা বুঝে ওঠার আগেই অনেকসময় ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চাগুলোর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এবার ডেঙ্গুর উপসর্গ ও আক্রমণ করার ধরন পাল্টে গেছে বলে জানান অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ শফী আহমেদ।
ভেক্টর বর্ন ডিজিজ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা এসেন্ডের কান্ট্রি হেড অধ্যাপক ডাঃ বেনজীর আহম্মেদ জনকণ্ঠকে বলেন, ডেঙ্গু বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সব ডেঙ্গুই প্রাণঘাতী হয় না। চার ধরনের ডেঙ্গু (ডিইএনভি-১, ডিইএনভি-২, ডিইএনভি-৩ ও ডিইএনভি-৪) মধ্যে ঠিক কোন ধরনের ডেঙ্গুর প্রকোপ বাংলাদেশে বেশি, তা খতিয়ে দেখা জরুরী। এখন জ্বর হলে মানুষ যেমন প্রথমে ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার ভয় পায়, তেমনি ডাক্তাররাও তা শনাক্ত করে চিকিৎসা করেন। কিন্তু যার ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে, তা ঠিক কোন টাইপের ডেঙ্গু, তা শনাক্ত করা হচ্ছে না। ফলে ডেঙ্গু পরীক্ষার পাশাপাশি টাইপিংও করতে হবে। না হলে রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া যাবে না।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ সাকিল আহমেদ বলেন, ডেঙ্গুর আঘাত হানার জায়গাগুলোতেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রোগীর ব্রেন, হার্ট ও লিভারেও আঘাত হানছে ডেঙ্গুর জীবাণু। ফলে বুঝে উঠার আগেই মৃত্যু ঘটছে অনেক ডেঙ্গু রোগীর। তিনি বলেন, প্রেসার কমে যাওয়াটাই ডেঙ্গুর মূল সমস্যা। অনেক রোগীর প্রেসার কমতে কমতে এমন খারাপ অবস্থায় চলে যায়, যা পরিমাপ দেয়ার অবস্থায় থাকে না। ফলে রোগীর দুর্ঘটনা ঘটে। তাই জ্বর হলেই রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধকল্পে জাতীয় গাইডলাইন তৈরি করেছে সরকার। চিকিৎসা প্রদানের সময় চিকিৎসকদের ওই গাইডলাইনটি অনুসরণ করা দরকার। অনুসরণ না করলেই চিকিৎসার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়ে রোগীর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চলতি বছরে প্রায় ১ হাজার ৮০০ চিকিৎসককে ওই জাতীয় গাইডলাইন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানান ডাঃ সাকিল আহমেদ।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশসহ বিশে^র অনেক দেশ আজ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এই রোগ প্রতিরোধে জাতীয় গাইডলাইন তৈরি করেছে সরকার। নানামুখী সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিষয়টি এখন মানুষ জানে। তবে এর যে গতি-প্রকৃতিতে পরিবর্তন হচ্ছে সে সম্পর্কে সচেতনতা নেই। অনেক চিকিৎসকেরও এ বিষয়ে ভাল ধারণা নেই। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পর্যায়ে সচেতন ও সতর্ক থাকলে এবং জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সময়ক্ষেপণ না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) পরামর্শক অধ্যাপক ডাঃ মাহামুদুর রহমান বলেন, ডেঙ্গুর কারণে মায়োকার্ডিটিসে আক্রান্ত হলে তা খুবই বিপজ্জনক। অনেক চিকিৎসকের পক্ষে তা দ্রুত বুঝে ওঠা কঠিন। তাই এ বিষয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া দরকার। তিনি জানান, চীনে মায়োকার্ডিটিসে আক্রান্ত তিন হাজার মানুষের ওপর গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ১১ শতাংশ ডেঙ্গু থেকে মায়োকার্ডিটিসে আক্রান্ত হয়েছে। এটি আক্রান্তদের মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম।
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস থেকে জানান,
যশোরে সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ১২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নড়াইলের এক নারীর যশোরে মৃত্যু হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি- আট ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেছে। ঢাকায় থাকতে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। যশোরের বিভিন্ন হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন। সরকারী হাসপাতালেই রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ১৯ জুলাই যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ থেকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী রানী (৫৩)। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার কুড়িগ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ হারুন-অর-রশিদ বলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুইজন ও একটি বেসরকারী হাসপাতালে ছয়জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের বাড়ি যশোরসহ বিভিন্ন জেলায়। তারা ঢাকায় থাকতেন। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন। যশোরে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যশোর স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের কোন খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা হলেনÑ যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার ফারজানা আক্তার (২৩), যশোর সরকারী এমএম কলেজ রোড এলাকার তিতলী সিকদার (১৮), পুরনো কসবা পুলিশ লাইন এলাকার রিফাত রহমান (১৮), উপশহর এলাকার ইশান (১৪), কারবালা এলাকার নাফিজা আক্তার (২১), চৌগাছার উপজেলা সদরের আ¤্রকাননপাড়ার তাসপিয়া চৌধুরী তুবা (৭), শার্শা উপজেলার টেংরালী এলাকার আনোয়ার হোসেন (২৫), কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের খালিদুজ্জামান (২৭), বাঘারপাড়া উপজেলার ক্ষেত্রপালা এলাকার ইমামুল হোসেন (২৫), ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডু এলাকার জাহিদুল ইসলাম খান (৩৫), আরিফুল ইসলাম (৩৫) ও তাহেরা খাতুন (২২)।
ডেপুটি সিভিল সার্জন হারুন অর রশিদ বলেন, সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসা নিতে হবে। সব সময় মশারির মধ্যে থাকতে হবে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। আলোচনা সভায় সতর্কতা অবলম্বন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জামালপুর থেকে, জামালপুরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মোঃ ছানোয়ার হোসেন (২৫) নামের একজন রোগী। ঢাকায় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চলতি মাসে আরও সাতজন ডেঙ্গু জ্বরের রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাঃ একেএম শফিকুজ্জামান। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত করার কোনরূপ ব্যবস্থা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগী মোঃ ছানোয়ার হোসেন ঢাকায় একটি বেসরকারী কারিগরি কলেজে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেন এবং ঢাকার মতিঝিল এলাকায় একটি মেসে বসবাস করেন। তিনি জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকার মোঃ আমিনুল ইসলামের ছেলে। শরীরে জ্বর, ব্যথা ও বারবার বমি হওয়ায় তিনি শনিবার ঢাকা থেকে জামালপুরে চলে আসেন। রবিবার সকালে তিনি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত করার কোন ব্যবস্থা না থাকায় শহরের একটি ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষা করে তার শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ডাঃ এ কে এম শফিকুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, ১ জুলাই থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আরও সাত পুরুষ রোগী ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এই হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত করার কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। শহরের ক্লিনিকে ডেঙ্গু জ্বরের রক্ত পরীক্ষা করাতে ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয় রোগীদের। ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা যাতে এই হাসপাতালেই করা যায় তার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রঃ জনকণ্ঠ