![](https://healthjournal.com.bd/wp-content/uploads/2019/07/IMG_20190722_194925.jpg)
কিছু কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের মাথার চুল আগাগোড়াই পাতলা হয়। প্রতিটি চুলের স্ট্র্যান্ডই ফিনফিনে, হাজার চেষ্টা করলেও মাথায় কোনও হেয়ার অ্যাকসেসরিজ়ই বেশিক্ষণ পরে থাকা যায় না, খানিক পরেই তা খসে পড়ার অবস্থা তৈরি হয়। ভলিউম শ্যাম্পু ব্যবহার করে, চুল বিভিন্ন লেয়ারে কেটে খানিকটা ভদ্রস্থ অবস্থা তৈরি করতে হয়। যে কোনও হেয়ারস্টাইল করার সময় প্রচুর ব্যাক কোম্বিং করে সামাল দিতে হয় পরিস্থিতি। কিন্তু এমনও অনেকে আছেন, যাঁদের চুল এক কালে ঘন ছিল, কিন্তু পরবর্তী সময়ে পাতলা হতে আরম্ভ করেছে এবং কিছুতেই আর আগের স্বাস্থ্যে ফেরানো যাচ্ছে না। আপনারও কি এই সমস্যা? কখনও তার কারণগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন?
মাথার চুল পাতলা হতে আরম্ভ করার প্রধান কারণগুলি নিচে দেওয়া হল। ক্ষেত্রবিশেষে এর বাইরের কোনও সমস্যাও থাকতে পারে, সবার চুল তো আর একই সমস্যায় একভাবে ‘রিঅ্যাক্ট’ করে না!
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: চুলের স্বাস্থ্যের উপর হরমোনের প্রভাব গভীর। বহু মহিলার চুলের প্রকৃতি বদলে যায় তাঁদের গর্ভাবস্থায়। তবে যাঁরা পিসিওএসের মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের চুল পাতলা হতে আরম্ভ করতে পারে।
আপনার শ্যাম্পু বা হেয়ারকেয়ার প্রডাক্টের রাসায়নিক: প্যারাবেন, সোডিয়াম লরেট সালফেট বা এসএলএসের মতো কেমিক্যাল ছাড়া বেশিরভাগ কেশচর্চার সামগ্রী তৈরিই হয় না। আর এগুলিই সম্ভবত আপনার চুলের স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যত শীঘ্র সম্ভব প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহারের উপর জোর দিন।
থাইরয়েডের সমস্যা: আপনার থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ওভার বা আন্ডারঅ্যাকটিভ হলেও কিন্তু চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। থাইরয়েড হরমোন শরীরের এনার্জি লেভেল ও কলাকোষের বিভাজনের হার নিয়ন্ত্রণ করে। থাইরয়েড ঠিকমতো কাজ না করলে ক্লান্ত লাগবে, ওজন বাড়তে বা কমতে পারে, বদলে যাবে চুলের প্রকৃতি ও স্বাস্থ্যও।
স্ট্রেস: স্ট্রেসকে কেবল মানসিক চাপ বলে ছোট করাটা ঠিক হবে না, কারণ স্ট্রেসের ফলে আপনার নানা শারীরিক সমস্যাও হতে পারে। তার মধ্যে ওজন বাড়া বা কমা, চুলের স্বাস্থ্যহানিও থাকে।
সুষম খাদ্যাভ্যাস: মানুষের সুস্থ থাকার জন্য যে যে পুষ্টিগুণ প্রয়োজন, সেগুলি যথাযথ মাত্রায় রয়েছে তো আপনার খাবারে? ভিটামিন বা মিনারেলের ঘাটতি থাকলে কিন্তু সত্যিই চুলের স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। বিশেষ লক্ষ রাখুন বি ভিটামিনের পুরো গ্রুপ আর ভিটামিন ডি-এর উপর – কোনও অবস্থাতেই যেন এগুলির কোনও ঘাটতি না দেখা দেয়।
সমাধান:
প্রত্যেকদিন শ্যাম্পু করার অভ্যেস বদলান: যাঁরা প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু দিতে অভ্যস্ত, তাঁরা নিজেদের অজান্তেই চুলের স্বাস্থ্যহানি ঘটাচ্ছেন। শ্যাম্পু আপনার মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে ফেলে তাকে দুর্বলতর করে তুলছে। প্রতিদিন চুল ধুলে চুলে বেশি ময়লা বসবে, আরও পাতলা আর ফ্ল্যাট দেখতে লাগবে।
প্রাকৃতিক হেয়ারকেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করুন:প্রাকৃতিক, অরগ্যানিক, এসএলএস ও প্যারাবেনমুক্ত শ্যাম্পু ও অন্য হেয়ারকেয়ার প্রডাক্ট বেছে নিতে হবে। খুব বেশি প্রডাক্ট ব্যবহারের অভ্যেস থাকলে সেটাও কমানো দরকার। এমন শ্যাম্পু কিনুন, যা ফলিকল মজবুত করে।
হেয়ারকালার আর কাট নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার নেই: বাড়িতে নিজের ইচ্ছেমতো হেয়ারকালার ব্যবহার করবেন না, ভালো পার্লারে গিয়ে স্টাইলিস্টের পরামর্শ নিয়েই তবেই চুলে রং লাগান। হেয়ারকাটের ক্ষেত্রেও খুব এক্সপেরিমেন্টাল না হওয়াই ভালো।
সুত্র ঃ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড