জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য আন্দোলন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘জাতীয় স্বাস্থ্য বাজেট ২০১৯-২০’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক থেকে এ দাবি জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শফিউন নাহিন শিমুল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বর্তমান বাজেট গত বছরের তুলনায় আকারে বেশি হলেও তা অন্য দেশের তুলনায় এমনকি নিম্নআয়ের দেশের তুলনায়ও অনেক ক্ষেত্রে কম।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যয়ের কারণে বছরে প্রায় ৫০ লাখ লোক দরিদ্র হচ্ছে। যার মূল কারণ আউট অব পকেট (নিজ পকেট থেকে) খরচ বেশি। এটি দিন দিন বাড়ছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় এ দেশে অনেক বেশি। এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, হার্টের রোগ ইত্যাদি বেড়ে যাওয়া এবং এর সঙ্গে লাগামহীন ওষুধের মূল্য বাড়ার কারণে বিপর্যয়মূলক ব্যয় বেড়েছে।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, এ ধরনের বাজেট প্রবণতা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ ১ ও ৩ অর্জনে সক্ষম নয়। এছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে প্রশাসনের অদক্ষতা, শেষের দিকে তড়িঘড়ি করে বাজেটের টাকা খরচ করা ও যন্ত্রপাতি ক্রয়, বড় অঙ্কের টাকা খরচ করেও তা চলমান রাখতে না পারার কারণে বাজেটের পুরোপুরি সুবিধা ভোগ করা যাচ্ছে না। জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে সেবা সম্প্রসারণের চাহিদার দিকে নজর রেখে স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়াতে হবে।
অধ্যাপক ডা. এম মোজাহেরুল হকের সঞ্চালনায় পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. শারমিন ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘স্বাস্থ্য আন্দোলন’র যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদা আক্তার, সদস্য আমিনুর রসুল প্রমুখ।
সুত্র ঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর