নার্সিং ভর্তি এবং চাকরিরত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের বিএসসি নার্সিংয়ে ভর্তির সুযোগ করে দিতে ‘কোচিং বাণিজ্য’ চলছে। এসব কোচিং প্রতিষ্ঠানে সরকারী চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে কোচিং দিচ্ছেন নার্সিং কলেজের এক শ্রেণীর প্রভাষক ও হেলথ কমপ্লেক্সের কয়েক চাকরিজীবী। তারা নার্সিং ভর্তি ও বিএসসি নার্সিংয়ে ভর্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উল্লেখ্য- মহাপরিচালক নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদফতর থেকে কোন কোচিং সেন্টার এবং বেসরকারী নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করা চাকরিবিধি অনুযায়ী অপরাধ।
সরকারী চাকরিতে থেকে নার্সিং কোচিং ব্যবসা সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আচরণ) বিধিমালা এবং সরকারী শৃঙ্খলা বিধির পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তারপরও বগুড়ায় গজিয়ে উঠেছে এমন কোচিং বাণিজ্য। বিষয়টি তুলে ধরে বগুড়ার ঠনঠনিয়ার এক ব্যক্তি নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদফতরে মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টিতেও বিষয়টি এনেছেন। এলাকা ঘুরে ও খোঁজখবর করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় নাইটঙ্গেল নার্সিং টিচিং হোম, মফিজ পাগলার মোড়ে উত্তরবঙ্গ নার্সিং ইনস্টিটিউট কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছে প্রায় কয়েক বছর ধরে। এসব প্রতিষ্ঠানে নার্সিং চাকরি এবং চাকরিজীবী সিনিয়র স্টাফ নার্সদেরকে বিএসসি নার্সিংয়ে প্রুতিশ্রুতি দেয়া হয়। অভিযোগে দেখা যায়, কোচিং ভর্তি ফি প্রতিজনে ১০ হাজার টাকা করে। ভর্তির কথিত নিশ্চয়তায় প্রতিজনে এক লাখ টাকা করে। এভাবে গত চার বছরে প্রায় ৩শ’ শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
সূত্রঃ জনকণ্ঠ