বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস বৃহস্পতিবার

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবার ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই ধারবাহিকতায় নানা আয়েজনের মধ্য দিয়ে এ বছর বাংলাদেশ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করতে যাচ্ছে।

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে- “জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর: প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন। ”
আগামী ১২-১৪ নভেম্বর কেনিয়ার নায়রোবিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘নায়রোবি সামিট’। এই সামিটের সামগ্রিক প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে। সাড়ে ১০টায় ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সচিব জানান, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় ৯৪ সালে যেখানে মাত্র ১৫ শতাংশ নারী আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহার করতো, বর্তমানে তা বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশে এ হার বর্তমানে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশে গর্ভকালীন বা প্রসবকালে মাতৃমৃত্যু হার বর্তমানে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০০৪ সালে এ হার ছিল ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। ২৫ বছর আগে স্বল্প আয়ের দেশে একজন নারী কমপক্ষে ৬টি সন্তান জন্ম দিতো। বর্তামানে তা চারের নিচে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে এ হার বর্তমানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।

আসাদুল ইসলাম জানান, এই সব অর্জন সত্ত্বেও কায়রোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে এবং সেইসঙ্গে গতিশীলতা বাড়াতে হবে। তা করতে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সেগুলো হলো- পরিবার পরিকল্পনার তথ্য ও সেবার অপূর্ণ চাহিদার হার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা; কোনও নারী সন্তান জন্মদানকালে মারা যাবে না, অর্থাৎ প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা; মেয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়ারানির প্রবণতা বন্ধ হওয়া।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *