ডেঙ্গু জ্বর, যা জানা ও মানা দরকার

দেশের শহর এলাকার ৮৫ শতাংশ নাগরিকই জীবনে অন্তত একবার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু সাধারণ জ্বর ভেবে সেভাবে গুরুত্ব দেননি অনেকেই।

ডেঙ্গু হলে সাধারণ জ্বরের চেয়ে বেশি সাবধানতা প্রয়োজন। এজন্য আমাদের যা জানতে ও মানতে হবে:  

ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত জ্বর। অন্য সব জ্বর, যেমন টাইফয়েড, সাধারণ জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরের মূল পার্থক্য হলো প্রথম দিন থেকেই জ্বর অনেক বেশি থাকে(১০২-১০৩ ডিগ্রি)।  

সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখের পেছনেসহ দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হয়ে থাকে। এছাড়া বমি হওয়া, খেতে না পারা এমনকি ক্লান্তি ভাবও হতে পারে।

বাড়ির কারো ডেঙ্গু হলে স্বাভাবিক খাবারের সঙ্গে পানি, খাওয়ার স্যালাইন, স্যুপ, দুধ, তাজা ফলের রস বেশি বেশি পান করতে দিন। 

ডেঙ্গু সারাতে প্রাথমিকভাবে পান করুন পেঁপের পাতার রস। পেঁপে পাতার রসে কাইমোপ্যাপিন ও প্যাপাইন রয়েছে৷ যা রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে  সাহায্য করে।ফলে, ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।

পেঁপের পাতার রস করতে প্রথমে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, পরিষ্কার পাটা বা হাম্বলদিস্তায় থেঁতো করে নিন। এবার রস ছেকে নিয়ে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেলো পেঁপে পাতার জুস, ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন তিন বেলা তিন কাপ পরিমাণ পান করতে দিন। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমনিতেই কয়েক দিনেই ডেঙ্গু জ্বর ভালো হয়ে যায়। তবে ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর হলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ফলে কোষের অভ্যন্তরীণ তরল কমে যায়, আশপাশের  রক্তনালিতে চাপ পড়ে, শুরু হয় রক্তক্ষরণ। বেশি মাত্রায় রক্তক্ষরণ চলতে থাকলে অণুচক্রিকা বা প্লেটলেট সংখ্যায় কমে যায়। জ্বর যদি খুব বেশি হয়, অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আমরা জানি এডিস মশা কামড় দিলেই ডেঙ্গু হয়। আর রাতে নয়, এডিস মশা দিনে কামড়ায়। তাই দিনের বেলায় ঘুমালেও মশারি ব্যবহার করুন। 

ঘর-বাড়ি ও এর চারপাশে পড়ে থাকা ক্যান, টিনের কৌটা, মাটির পাত্র, বোতল বা পানি ধারণ করতে পারে এমন পাত্র ধ্বংস করে ফেলতে হবে, যেন পানি জমে মশা না বাড়তে পারে।  প্রয়োজনে নিজেদের উদ্যোগে নিয়মিত মশার স্প্রে বা ওষুধ ছিটাতে হবে। 

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *