রাজধানীসহ সারাদেশে ৭৩ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংগ্রহ করে ধ্বংস করেছে।
উচ্চ আদালতের রিট আদেশ বাস্তবায়নে ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ৭৩ কোম্পানি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে লিখিতভাবে অবহিত করেছে।
এদিকে ফার্মেসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর অনুরোধের প্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর দেশের সব ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংগ্রহ করে ধ্বংসের জন্য সময়সীমা ১০ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এ সময়ের মধ্যে কম্পানিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করে অবহিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, অধিদফতরের মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে ধামরাইয়ে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল ২ জুলাই মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করে। পাবনায় স্থানীয় ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে ১ জুলাই স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস মেয়াদোত্তীর্ণ ধ্বংস করে। ১ জুলাই নারায়ণগঞ্জের মেসার্স অ্যাডভান্স কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড স্থানীয় ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করে। ২ জুলাই মেসার্স এরিস্টোফার্মা লি. মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ শ্যামপুর ওষুধ তত্ত্বাবধায়কের উপস্থিতিতে ধ্বংস করে।
১ জুলাই টঙ্গীতে ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ গাজীপুর কার্যালয়ে স্থানীয় সহকারী পরিচালক ও প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক ড. খন্দকার সগীর আহমেদের উপস্থিতি ধ্বংস করে।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের এক রিট আদেশ বাস্তবায়ন বিষয়ে গত ২৩ জুন মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংক্রান্ত ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে ওষুধ শিল্প মালিক সমিতি, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের সঙ্গে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের সব ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংগ্রহ করে উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানকে ফেরত গ্রহণপূর্বক ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়। সে নির্দেশনা অনুসারে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৭৩টি ওষুধ কোম্পানি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেরত নিয়ে ধ্বংস করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে অবহিত করে।
এদিকে গত ২৫ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উদ্যোগে ঢাকা, চাঁদপুর, খুলনা, কুষ্টিয়া, রংপুর ও রাজশাহীতে নকল, ভেজাল, আনরেজিস্টার্ড, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় করা মোট ১১ মামলায় এক লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা ও একজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গত ৩০ জুন রাজধানীর মানিকনগরে র্যাব ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় অবহিত হারবাল ওষুধ তৈরির অপরাধে বনাজি চিকিৎসালয়ের মালিককে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও খান ফার্মেসির মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সূত্রঃ জাগোনিউজ