বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২০০ মেডিকেল অফিসার নিয়োগে হাইকোর্টের দেয়া স্থিতাবস্থার স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
একই সঙ্গে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ১৫ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ফলে আপাতত এ পদে নিয়োগে আর কোনো বাধা থাকলো না।
বুধবার (৩ জুলাই) বিএসএমএমইউয়ের পক্ষে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিবচারপতি মো. নুরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে বিএসএমএমইউর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল আলম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মো. শামীম আজিজ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব।
গত সোমবার (১ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিএসএমএমইউতে দুইশ মেডিকেল অফিসার নিয়োগের ওপর স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার ফল কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিএসএমএমইউর ভিসিসহ পাঁচজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয় এবং এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২১ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২২ মার্চ ২০০ চিকিৎসক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় মেডিকেল অফিসার পদে ৭৩৯ এবং ডেন্টাল সার্জারি পদে ৮১ সহ মোট ৮২০ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে ফল ঘোষণা করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
তবে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, বয়স্কদের উত্তীর্ণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শতাধিক পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষার ফল বাতিল ও ভিসির পদত্যাগের দাবি জানান। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ আবদুর রহিম ও জসিম উদ্দিনসহ মোট ৭১ জন ১৯ মে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করেন। এ রিটে স্থিতাবস্থার আদেশ জারি করেন হাইকোর্ট। এ আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে স্থগিতের আবেদন করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।