‘এটিতো সরকারি হাসপাতাল। এখানে চিকিৎসা দেয়ার মতো তেমন যন্ত্রপাতি নেই। তাই বিকেলে আমার প্রাইভেট চেম্বারে আসেন। ভালো করে দেখে (চিকিৎসা) দেব।’
দাঁতের ব্যথায় কাতর হয়ে খালেদা বেগম (৩২) নামের এক রোগী আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডেন্টাল সার্জন ডা. আবদুল্লাহ আল বারীর কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে ডেন্টাল সার্জন ওই নারী রোগীকে এমন পরামর্শ দেন।
কালের কণ্ঠের এ প্রতিনিধির কাছে খালেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত দুদিন ধরে দাঁতের ব্যথায় অস্থির হয়ে তিনি (খালেদা) তাঁর স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে এগারটার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে ডেন্টাল সার্জন ডা. আবদুল্লাহ আল বারীর (বিডিএস) কক্ষে ঢুকে তার দাঁতের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এসময় ওই দাঁতের ডাক্তার মোবাইল টর্চ লাইট দিয়ে খালেদার দাঁত দেখেন। পরে ওই নারী রোগীকে বিকেলে হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালে থাকা তাঁর (সার্জন) প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।
খালেদার স্বামী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি হাসপাতাল হলো গরিব ও সাধারণ রোগীদের জন্য। আর সেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা যদি গরীব রোগীদের প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেন, তাহলে গরীব রোগীরা যাবে কোথায় বলুন?
তবে সরকারি হাসপাতালের ওই ডেন্টাল সার্জন আবদুল্লাহ আল বারী (বিডিএস) কালের কণ্ঠের এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ওই মহিলা রোগীর দাঁতের ভেতরে ছোট্ট একটি কাঠি ঢুকানো অবস্থায় দেখতে পাই। ওই কাঠিটি বের করার কোনো যন্ত্র সরকারি হাসপাতালে নেই। তাই বিকেলে ওই রোগীকে আমার প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডা. সাইমুল হুদা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে কর্তব্য চলাকালীন কোনো সরকারি ডাক্তার কখনও কোনো রোগীকে প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন না। ভুক্তভোগী ওই রোগী আমাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ