যেকোন ধরণের হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রকোপই অত্যন্ত বিপজ্জনক ও প্রাণঘাতী । মোট পাঁচ ধরণের হেপাটাইসিস ভাইরাস আছে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই। অনেকের হয়তো জানা নেই, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হেপাটাইটিসের প্রকোপ বাড়ে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’-এর তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২৩ বছরে হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যুর ঘটনা ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রতি বছর হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হচ্ছেন। হু-এর মতে, সারা বিশ্বে ২০০ কোটির বেশি মানুষ হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত এবং ৪০ কোটির বেশি মানুষ এই রোগের জীবাণু অজান্তেই বহন করে চলেছেন।
হেপাটাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণে লিভার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সময়মতো চিকিৎসা না করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে হেপাটাইসিসের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। হেপাটাইসিস প্রতিরোধে যেসব বিষয় অনুসরণ করা জরুরি-
১. কখনও কাটা ফল খাওয়া ঠিক নয়।খেতে ইচ্ছে করলে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ফল কাটিয়ে তবেই খান।
২. রাস্তার খাবার-দাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। রাস্তার পাশের মশলাদার, তেলেভাজা জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
৩. রাস্তা ঘাটে বেরিয়ে পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে সঙ্গে পানি নিয়ে বের হওয়া ভাল। পানি শেষ হয়ে বোতলজাত পানি পান করুন।
৪. অন্যের ব্যবহার করা চিরুনি, দাড়ি কাটার সরঞ্জাম, আইলাইনার, লিপস্টিক, কানের দুল বা ওই জাতীয় কিছু ব্যবহার করা ঠিক নয়।
৫. দাড়ি কাটার সরঞ্জাম নিরাপদে পরিচ্ছন্ন জায়গায় সরিয়ে রাখুন।
৬. বাড়িতে পানি ফুটিয়ে খান।
৭. এক বছর বয়স থেকেই শিশুদের হেপাটাইটিসের প্রতিষেধক বা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।