সরিষার যে বিভিন্ন ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে, তা আমরা কম-বেশি সবাই জানি। বিশেষত ঠাণ্ডা কিংবা কাশি উপশমে সরিষার তেলের জুড়ি মেলা ভার।
ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট-সমৃদ্ধ সরিষা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি শরীরে বর্তমান ক্যান্সার সেলের কার্যসীমা স্থগিত করে এবং নতুন সেল তৈরি হতে দেয় না। সরিষায় উচ্চমানের সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকায় এটি ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে। রোজ সরিষা খেলে অ্যাজমার লক্ষণ দূর হয়, কাশি এবং বুকে জমা কফ সেরে ওঠে। এতে রয়েছে ফলেট, নিয়াসিন, থিয়ামিন, রিবোফ্লাবিন ইত্যাদি। তাই তা দ্রুত বিপাকক্রিয়া ঘটায় ও ওজন কমানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সরিষা বাটায় রয়েছে ক্যারোটিন, লিউটেইন ও জিজান্থিন। আরো রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও কে। এসব উপাদান একসঙ্গে মিলে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পরিণত হয়, যা বয়স ধরে রাখে। তাই রান্নায় সরিষা বাটা ব্যবহার করলে খাবারে স্বাদ বাড়ার পাশাপাশি ত্বকও ভালো থাকে।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় সরিষা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস ও পেশির ব্যথা দূর করে। ব্যথা হলে সরিষা বাটার প্রলেপ দিলে আরাম পাওয়া যায়। কারণ এতে পেশির জড়তা ছেড়ে দেয়। তাছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকের ইনফেকশন, কাটা-ছেঁড়া ও বাড়তি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের কাজটিও এ মসলা ভালোভাবে করতে পারে।
সরিষার তেল ত্বকের পাশাপাশি চুলের ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, লোহা, ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম যা চুল গজাতে ও বড় হতে সাহায্য করে।