‘পারবয়েল রাইস’, ‘কনভার্টেড রাইস’ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত আধা সিদ্ধ চাল। সাধারণ ভাত রান্না পদ্ধতির মতোই এই চাল তৈরির পদ্ধতি।
প্রথমে চাল ভিজিয়ে রাখা হয়, পরে ভাপে সিদ্ধ করে শুকানো হয়।
খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এই চাল থেকে তৈরি ভাতের গুণাগুণ সম্পর্কে জানানো হল।
হজম সহজ: তিন ধাপে তৈরি ‘পারবয়েলড’ চালের ভাত খুব সহজে হজম হয়ে যায় এবং মল অপসারণ প্রক্রিয়াকেও গতিশীল করে। ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি রোগ সারাতেও এই চালের ভাত সহায়ক।
আর্সেনিক কম: বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘পারবয়েলড’ চালে অজৈব আর্সেনিকের মাত্রা কমায় ২৫ শতাংশ। পাশাপাশি এর ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়ায় ২১৩ শতাংশ।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট: এই চালে প্রচুর পরিমাণে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’ থাকে। পাশাপাশি ‘পারবয়েলড’ চালে ‘অ্যান্থোসায়ানিনস’য়ের মাত্রা বেশি হওয়ায় প্রদাহ সারাতে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে।
খনিজের উৎস: মাত্র এক কাপ ‘পারবয়েলড’ চালের ভাত পূরণ করতে পারে শরীরের দৈনিক কেলসিয়াম, পটাসিয়াম, লৌহ এবং ম্যাঙ্গানিজ’য়ের চাহিদা। ম্যাঙ্গানিজ বেশি থাকায় এই ভাত উচ্চচাপ কমাতে সহায়ক, কমায় ‘হার্ট অ্যাটাক’য়ের ঝুঁকিও।
ভিটামিন: সাধারণ সাদা চাল কিংবা বাদামি চালের তুলনায় ‘পারবয়েলড’ চালে ভিটামিন থাকে দ্বিগুন।
ডায়াবেটিস: ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ে এই চালের অবস্থান বেশ নিচে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই চালের ভাত অন্য চালের তুলনায় ভালো। যারা নিজেদের শর্করা গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাদের জন্য আদর্শ পছন্দ হবে ‘পারবয়েলড’ বা আধা সিদ্ধ চাল।