সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল ফোনে মৌখিকভাবে বিষয়টি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আ ফ ম মশিউর রহমান বাবুকে জানানো হয়।
ডাক্তার মশিউর রহমান বাবু বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চার চিকিৎসককে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য উপর থেকে মৌখিকভাবে জানোনো হয়েছে। তবে ধারণা করছি অল্প সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সংসদ সদস্য মাশরাফির ঝটিকা অভিযানের পর চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয় মন্ত্রণালয়। পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি মাশরাফি জানার পর তিনি নিজেই মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করেছেন তাদের (চার চিকিৎসককে) স্ব স্ব দায়িত্বে বহাল রাখার জন্য।
২৫ এপ্রিল নড়াইল সদর হাসপাতলে ঝটিকা অভিযানে যান মাশরাফি। সেখানে গিয়ে ওই হাসপাতালে ৪ জন চিকিৎসক বিনা অনুমতিতে (ছুটি ছাড়া) অনুপস্থিত থাকার প্রমাণ পান। পরে বিনা অনুমতিতে হাসপাতালে অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর নোটিশের পাশাপাশি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২৮ এপ্রিল (রোববার) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই চিকিৎসকদের ওএসডি করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়।
এই চিকিৎসকরা হলেন- নড়াইল সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আখতার হোসেন, কার্ডিওলজির জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. শওকত আলী ও ডা. মো. রবিউল আলম এবং মেডিকেল অফিসার ডা. এ এসএম সায়েম।