অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হচ্ছে দুধ। শিশু থেকে সব বয়সী মানুষের জন্য গরুর দুধ এক অনন্য উপাদান। এর স্বাস্থ্যগুণ বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু ব্যবসায় অতিমুনাফার জন্য কোনো কোনো ব্যবসায়ী দুধ ভেজাল করেন। সেই দুধ খেলে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।খাঁটি দুধ আমরা কীভাবে চিনব তা জেনে নিই-
১. একটি কাপে কিছু পরিমাণ দুধ ঢেলে নিয়ে তার মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস যোগ করুন। এবার হালকা করে ঝাঁকুন ৩-৫ মিনিট। যদি দেখেন ছানা তৈরি হচ্ছে, তবে এ দুধ খাঁটি।
২. কিছু পরিমাণ দুধ মাটিতে ঢালুন। যদি দেখেন মাটিতে গড়িয়ে যাওয়ার সময় সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তা হলে বুঝবেন এ দুধ খাঁটি। অশুদ্ধ হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না।
৩. দুধ গরম করতে গেলে যদি হলদেটে হয়ে যায়, তবে এ দুধ খাঁটি নয়। এতে মিশে আছে কার্বোহাইড্রেট।
৪. কিছু পরিমাণ দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে দুই চা চামচ নুন মেশান। যদি নুনের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তা হলে বুঝবেন, এ দুধে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
৫. যদি দেখেন দুধে মাছি বসছে না, তবে বুঝতে হবে দুধে ফরমালিন মেশানো আছে। দুধে ফরমালিন রয়েছে কিনা আরও ভালোভাবে বুঝতে কিছু পরিমাণ দুধ পাত্রে ঢেলে তার মধ্যে একটু সালফিউরিক অ্যাসিড মেশান। যদি নীল রঙ হয়, তবে ফরমালিন আছে।
৬. খাঁটি দুধে প্রতি কেজিতে ১৮০-১৮৭ গ্রাম ছানা হবে। যদি ১৮০ গ্রামের কম ছানা হয়, তবে বুঝতে হবে দুধে পানি মিশ্রিত আছে।