আমাদের চারপাশে প্রতি আটজন নারীর একজন থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্ত। ছোট বালিকা থেকে শুরু করে বয়স্ক নারী—যে কেউ যেকোনো সময় হাইপোথাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। থাইরয়েডের সমস্যায় সব সময় যে গলগণ্ড হবে বা গলার গ্ল্যান্ড ফুলবে, তা–ও নয়। দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হাইপোথাইরয়েড বা থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি খুব সামান্য উপসর্গ নিয়ে ধরা পড়ে, কখনো কখনো কোনো উপসর্গ থাকেই না।
জেনে নিন কখন থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করা দরকার—
■ হাইপোথাইরয়েডের কিছু লক্ষণ নারীরা প্রায়ই খেয়াল করেন না। যেমন: ব্যাখ্যা করা যায় না এমন ক্লান্তি বা অবসাদ, অল্পতেই পরিশ্রান্ত বোধ করার অনুভূতি হতে পারে।
■ শরীরের পেশি বা সন্ধিতে কোনো কারণ ছাড়াই ব্যথা, ম্যাজমেজে ভাব অনুভব হতে পারে। কখনো সকালে ঘুম থেকে জেগে মনে হতে পারে মুখটা ফোলা, পায়ে মাঝে মাঝে পানিও আসতে পারে।
■ ওজন বাড়তে থাকা ও চেষ্টা সত্ত্বেও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা হাইপোথাইরয়েডের অন্যতম একটি লক্ষণ।
■ রুটিন পরীক্ষায় নারীদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত পাওয়া গেলে থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করার কথা নির্দেশিত আছে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত নারীদেরও রুটিন থাইরয়েড পরীক্ষা করা উচিত।
■ অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, বন্ধ্যাত্ব, গর্ভপাত হয়ে যাওয়া।
■ স্রেফ কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে থাইরয়েড ঘাটতির একটি বিশেষ উপসর্গ।
■ শুষ্ক ত্বক, অতিরিক্ত চুল পড়া ও ত্বকের নানা সমস্যায় থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে।
■ মধ্যবয়স্ক বা বয়স্ক নারীদের ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, মনোযোগ না থাকা ও ডিমেনশিয়াকে অনেক সময়ই উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু
গবেষণা বলছে, শুধু এই উপসর্গ নিয়েই একটা বড় অংশের হাইপোথাইরয়েড রোগীর রোগ শনাক্ত হয়।
■ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত উপসর্গ হলো ব্যাখ্যাতীত বিষণ্নতা, খিটখিটে মেজাজ, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা।