গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম বিষয়ে প্রথম করণীয় হলো চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা। এ সময় আপনার স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিকিৎসককে সব তথ্য দিতে হবে।
চিকিৎসককে জানাতে হবে নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধিতে আপনার অনাগত সন্তান কোনো ঝুঁকিতে পড়বে কি-না।
শারীরিক অনুশীলনের সময় আপনি বুঝতে পারবেন কোনটি আপনার জন্য স্বস্তিদায়ক আর কোনটি অস্বস্তিদায়ক। যে ব্যায়ামটি আপনার জন্য স্বস্তিদায়ক কেবল সেটিই আপনি করবেন।
গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম অবশ্যই স্বাস্থ্যকর। আপনার শরীরের রিদম বজায় রাখতে একটি নিয়মিত রুটিন থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে কঠিন কোনো রুটিনে না গিয়ে সাধারণ রুটিন অনুসরণ করুন।
ব্যায়াম কিংবা শারীরিক কর্মকাণ্ড চলাকালে ধীরে সঞ্চালন করুন। ধীরগতি আপনার সমস্ত কাজকে সহজ করবে এবং শরীরকে রাখবে নিরাপদ।
গর্ভাবস্থায় ব্যায়ামের সময় ওয়ার্ম আপ এবং কুল ডাউন গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি একবারই শেষ করুন। ব্যায়াম রুটিনের এই অংশে মনোযোগ দিতে ভুলবেন না।
ব্যায়ামের সময় গর্ভবতী নারীদের শরীরের সঠিক অবস্থান কেমন হবে তা জানতে হবে। প্রত্যেকটি ব্যায়ামের সময় বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। অন্যথায়, আপনার ও আপনার বাচ্চার- দুজনেরই ক্ষতি হতে পারে।
ব্যায়ামের সময় শরীর অত্যধিক গরম করবেন না। এই অবস্থা আপনার শরীরকে ক্লান্ত করতে পারে যাতে হতে পারে শারীরিক সমস্যা। এ সময় পোশাক পরতে হবে ঢিলেঢালা। নিজের ঘর কিংবা ঘরের বাইরে- যেখানেই ব্যায়াম করেন না কেন তাপমাত্রার ব্যাপারে মনোযোগ দিতে হবে।
বাচ্চা প্রসবের দিন ঘনিয়ে আসলে ব্যায়ামের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। শারীরিক সীমাবদ্ধতা এবং গর্ভাবস্থায় শারীরিক পরিশ্রম বিষয়ে চিকিৎসকের নির্দেশনার সঙ্গে এটি সম্পর্কিত।
গর্ভাবস্থা বিষয়ে অভিজ্ঞ এমন একজনকে সঙ্গী হিসেবে রাখলে সবচেয়ে ভালো হয়। এ সময় ইয়োগা চর্চাও দুর্দান্ত কাজ করে।
হাঁটা গর্ভবতী নারীর জন্য সম্ভবত সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। এতে পেশির স্বাস্থ্য বজায় থাকে এবং রাতে ঘুমও ভালো হয়।