পৃথিবীর যে কোনো স্থানে মানুষকে নানা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর মধ্যে অনেক নেতিবাচক পরিস্থিতি ফেলে দিচ্ছে মানসিক চাপের মুখে। এসব চাপ মোকাবিলায় প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব উপায়। চাপ থেকে মুক্তি পেতে কেউ গান শোনে, কেউ ঘুমের মধ্যে খুঁজে পেতে চায় পরিত্রাণ। কিন্তু এগুলো আসলে কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক ও শারীরিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটি ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকর। এগুলো আপনার শরীরে এন্ডোরফাইন নামের সুখি হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে। এই হরমোনই চাপের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে।
নিচে এমন পাঁচটি ব্যায়ামের বিষয় তুলে ধরা হলো:
১। ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং
মানুষের বেশিরভাগ চাপ সৃষ্টি হয় কাজের নির্দিষ্ট সময় পার হলে বা পার হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে। এ ধরনের চাপ দূর করতে কাজের ফাঁকে অল্প সময়ের জন্য কিছু ব্যায়ামই ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং। মাত্র ১৫-২০ মিনিটি ধরে সাইক্লিং, ট্রেডমিল কিংবা রাইজিং মেশিনে অনুশীলন এই ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে পড়ে।
২। ইয়োগা
ইয়োগা বা যোগব্যায়াম সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম যা চাপ কমাতে সাহায্য করে। যোগ ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় সুবিধা এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত। এই প্রক্রিয়ায় খুব সহজে শারীরিক ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। ইয়োগার জন্য সবচেয়ে উত্তম সময় সকাল বেলা।
৩। ভারি বস্তু উত্তোলন
হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সঞ্চালন শরীরে এন্ডোরফাইন উৎপাদন করে। ইতিবাচক দিকে নেতিবাচক শক্তি ফোকাসের জন্য উত্তম উপায় ভারি বস্তু উত্তোলন। এটি আপনার মেজাজ ইতিবাচক অবস্থায় আনার একটি দুর্দান্ত উপায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন প্রশিক্ষণ পেশির ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং এন্ডোরফাইন উৎপাদনকে বাড়িয়ে দেয়।
৪। সাইক্লিং
যখনই চাপ বোধ করবেন সাইকেল নিয়ে সোজা চলে যাবেন ফাঁকা রাস্তায় অথবা পার্কে। সাইকেল চালালে আপনার হৃদযন্ত্র পাম্পিং হয় এবং পা কাজ করে। এটি উদ্বেগ হ্রাস করতে অত্যন্ত কার্যকরী। মাত্র কয়েক মিনিট সাইকেল চালালেই শরীরে কর্টিসোল ও অ্যাড্রেনালাইন মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। চালানো শেষে সাইকেল থেকে নেমেই আপনি এর ইতিবাচক ফল পাবেন।
৫। বক্সিং
চাপ খুব বেশি অ্যাগ্রেসিভ হলে তা মোকাবেলার জন্য বক্সিং একটি সেরা ব্যায়াম। এই আক্রমণাত্মক খেলাটি দ্বারা আপনার সব চাপ জমা হবে পাঞ্চিং ব্যাগে। এটি চাপ ও আগ্রাসন মোকাবিলার একটি স্বাস্থ্যকর উপায়।