শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটে দ্রুত মেদ জমে। মেদের কারণে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র খাওয়াদাওয়াই নয়, পেটে মেদ জমতে পারে আরও নানা কারণে।যেমন-
১. অনেকে কাজের ফাঁকে ব্যস্ততার কারণে ফাস্ট ফুড খেতে পছন্দ করেন। এগুলো খেতে ভাল হলেও স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ঠিক নয়।ঘন ঘন এ ধরনের খাবার খেলে পেটে মেদ জমার ঝুঁকি বাড়ে। এর পরিবের্ত ফল, বাদাম বা সালাদ জাতীয় খাবার খেলে পেটের মেদ কমাতে উপকারিতা পাবেন।
২. দই খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এতে যে ভাল ব্যাকটেরিয়া থাকে তা হজমে সাহায্য করে। ফলে পেটে মেদ বাডা়র সুযোগ হয় না।
৩. যুক্তরাষ্ট্রের করনেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, নেতিবাচক আবেগ বা টেনশনে থাকলে অনেকের বেশি খাওয়ার প্রবণতা হয়, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৪. পানি পিপাসা হলেই অনেকে কোমল পানীয় পান করেন। এতে থাকা অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরের মেদ বাড়ায়।
৫. রোগা হতে গিয়ে অনেকেই খাওয়াদাওয়া কমিয়ে দেয়। চিকিৎসকদের মতে, খাবারের পরিমাণ কমালে সমস্যা নেই। কিন্তু, বেশি ক্ষণ না খেয়ে থাকলেও পেটে মেদ জমে।
৬. অফিসে বা অন্য কোনও কাজ করার সময় এক ভাবে অনেকক্ষণ বসে থাকলেও পেটে মেদ জমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর পর নিজের সিট থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করা উচিত।