‘এখনই সময় অঙ্গীকার করার, যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’- এই স্লোগানকে ধারণ করে আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, যেহেতু রোগীকে ছয় মাস ধরে নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। এ জন্য রোগীকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। ওষুধ একদিন সেবন বাদ দিলে তাকে আবার পেছন থেকে শুরু করতে হয়।
দেশে বর্তমানে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৬ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ জন।
তবে দ্রুত নগরায়ন, কর্মজীবী মানুষের স্থানান্তর, জিন এক্সপার্ট মেশিনের অপ্রতুলতা, জনসাধারণের মাঝে অসচেতনতা ও কুসংস্কারসহ বিভিন্ন কারণে এখনো ২৬ শতাংশ যক্ষ্মারোগী শনাক্তের বাইরে।
যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বলা হয়, যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
২০৩৫ সালের মধ্যে সরকার যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যুর হার ৯৫ শতাংশ ও প্রকোপের হার ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়। এ লক্ষ্যে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সঙ্গে ব্র্যাকসহ ২৫টি বেসরকারি সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ চেস্ট অ্যান্ড হার্ট অ্যাসোসিয়েশন মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী ইনোগ্রাল সেশন এবং সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন
যক্ষ্মা কি? কিভাবে হয়, এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ