গাজরের গুণাগুণ

গাজর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর স্বাস্থ্যগত ও পুষ্টিগত উপকারিতাও অনেক বেশি। গাজর সর্বোৎকৃষ্ট মানের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য। যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ডি, ই, কে, বি১ এবং ভিটামিন বি৬। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, অর্গানিক সোডিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান

গাজরের গুণাগুণ তুলে ধরা হলগাজর মানব দেহের রক্ত কণিকা উৎপাদনে খুবই কার্যকর।
গাজরের জুস নিয়মিত পান করলে হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
গাজরের এন্টি-অক্সিজেন্ট বিভিন্ন রোগ সংক্রামক থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস পদ্ধতিকে নিরাপদে রাখে।
প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে একটি করে গাজর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করে।
গাজরের সার বস্তু রক্তের জলীয় ভাগ এবং কলস্টেরলের মাত্রা কম রাখে।
গাজরের জুস কফ, সাইনোসাইটিস, কণ্ঠনালিতে শ্লেষ্মাসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে।
প্রতিদিন গাজরের জুস পান করলে সিগারেটের ধোঁয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে জীবন রক্ষা করে।
গাজরের পুষ্টিকর উপাদান চক্ষু সম্বন্ধীয় ক্রিয়া-পদ্ধতিকে উৎকৃষ্ট অবস্থায় রাখে।
গাজরের জুস নিয়মিত পানে শারীরিক অবসন্নতা দূর হয়।
গাজর শরীরে বিভিন্ন প্রজ্বলন ভাব, বাত রোগ ও গেঁটেবাত থেকে রক্ষা করে।
গাজরের জুসের পুষ্টিকর উপাদান কিডনিকে পরিষ্কার ও পরিশ্রাবণ করতে সাহায্য করে।
গাজরের জুস মাতৃদুগ্ধের প্রকৃতি ও পরিমাণ বাড়ায়।
গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে শেষের কয়েক মাস নিয়মিত গাজরের জুস পান করলে বাচ্চার জন্ডিসের সম্ভাবনা দূর হয়ে যায়।
গাজরে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ত্বককে কোমল রাখে, ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে এবং অন্যান্য সমস্যা দূর করে।
এক সপ্তাহে ছোট এক কাপ গাজরের জুস পানে শিশুদের সুতা কৃমি দূর করে।
গাজরের জুস পানে আলসার প্রতিরোধ হয়।
গাজরের জুস উৎকৃষ্ট মূত্র বৃদ্ধিকারক। শরীরের পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে পানি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *