ঘুম দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখাসহ নানান কাজে সাহায্য করে এই ঘুম। একজন ব্যক্তির প্রতিদিন টানা প্রায় সাত ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা রাতে ছয় ঘণ্টা বা এর চেয়ে বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তারা একটু বেশি আয়ু কমে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
এছাড়া স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে ঘুম ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত ঘুমের পর মানুষের মস্তিষ্ক শীতল থাকে ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো ঘুমের সময় স্মৃতিকে নতুনভাবে ব্যবহার উপযোগী করে নেয়।
দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মানুষ স্ট্রেসে ভোগে যা দৈনন্দিন জীবনে ও কর্মক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা যায়, দৈনিক সাত ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করলে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে, কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি।
ঘুম কম হলে মানুষের দেহের বিপাক ক্রিয়া, রক্তচাপ, মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা ইত্যাদি প্রক্রিয়াগুলো ব্যবহৃত হয়। তাই বিভিন্ন রোগবালাই দেহে বাসা বাঁধে। তাই গবেষকরা দৈনন্দিন রাতের টানা ঘুমের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।