নভেম্বর ২৮, ২০১৯
দেশে গর্ভবতী মায়েদের এক-চতুর্থাংশ ডায়াবেটিক রোগী
নভেম্বর ২৮, ২০১৯
আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ তিন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে
নভেম্বর ২৮, ২০১৯
রাজধানীতে ডায়রিয়ায় শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি
নভেম্বর ২৮, ২০১৯
শীতের সময় বাতের সমস্যা
নভেম্বর ২৮, ২০১৯
শিশু ও বৃদ্ধদের নিউমোনিয়া
নভেম্বর ২৮, ২০১৯
বদলাচ্ছে ডেঙ্গুর ধরন
দেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। ২০১৮ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১২ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে হিসাবে দেশে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে একজন শিশু মারা যাচ্ছে নিউমোনিয়ায়, যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ প্রকাশিত ‘ফাইটিং ফর ব্রেথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রণীত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ম্যাটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড এপিডেমিওলজি এস্টিমেশন গ্রুপের (এমসিইই) অন্তর্বর্তীকালীন হিসাবের ওপর ভিত্তি করে এ বিশ্লেষণী প্রতিবেদন তৈরি করেছে ইউনিসেফ। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাময় ও প্রতিরোধযোগ্য রোগ হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বছর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে কয়েক হাজার বাংলাদেশী শিশু। দেশে গত বছরও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ১২ হাজারেরও বেশি। সে হিসাবে দেশে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে দৈনিক গড়ে ৩০টিরও বেশি। অর্থাৎ এক্ষেত্রে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ঘণ্টায় গড় শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ১-এর বেশি। এরই ভিত্তিতে দেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে নিউমোনিয়াকে চিহ্নিত করেছে ইউনিসেফ। এ বিষয়ে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে মৃত্যুবরণকারী শিশুদের ১৩ শতাংশই মারা গেছে নিউমোনিয়ায়। নিয়মিত টিকাগ্রহণ, ছয় মাস বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো, পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ কিছু সচেতনতামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমেই নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু তালহা বলেন, অপুষ্টি, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা, অসচেতনতা—এসব কারণেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না নিউমোনিয়া। শিশুদের নিয়মিত টিকা দান, ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে পারলে নিউমোনিয়া অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব। যদিও অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে এ রোগটির ঝুঁকিতে পড়ছে শিশুরা, আবার মারা যাওয়া শিশুর হারও কম নয়। মূলত শহরাঞ্চল, বস্তি এলাকায় এ রোগের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের ধূমপানের কারণেও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই এসব বিষয়ে সচেতন থাকলে নিউমোনিয়া খুব সহজেই প্রতিরোধ সম্ভব। ইউনিসেফের প্রতিবেদনে নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যুর বৈশ্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী গত বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মারা গেছে আট লাখেরও বেশি। অর্থাৎ বিশ্বে প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একটি করে শিশুর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এ আট লাখের মধ্যে যেসব শিশুর বয়স দুই বছরের কম, তাদের মধ্যে বেশির ভাগেরই মৃত্যু ঘটেছে বয়স এক মাস অতিবাহিত হওয়ার আগেই। এতে আরো জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী নিউমোনিয়ায় মৃত শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি মাত্র পাঁচটি দেশের। দেশগুলো হলো নাইজেরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কঙ্গো ও ইথিওপিয়া। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে নাইজেরিয়ায়। দেশটিতে গত বছর ১ লাখ ৬২ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু মারা গেছে ১ লাখ ২৭ হাজার। তৃতীয় পাকিস্তানে গত বছর নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৫৮ হাজার।এছাড়া কঙ্গোয় ৪০ হাজার ও ইথিওপিয়ায় ৩২ হাজার শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। নিউমোনিয়ার কারণ ও চিকিৎসা বিষয়ে প্রতিবেদনে […]
Read More
আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রায় এসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। অথচ এই এসিডিটি হওয়ার পেছনে আমাদের কিছু অভ্যাস দায়ী। তাই কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করলেই এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। আসুন জেনে নিই এসিডিটি বেড়ে যাওয়ার ১০ কারণ। খাওয়া শেষে দ্রম্নত ঘুমিয়ে পড়া অনেকেই আছেন রাতে বা দুপুরে খাওয়ার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। এতে আমাদের খাবার পাকস্থলীতে যাওয়া পর্যন্ত বাঁধা […]
Read More
ঘন ঘন প্রস্রাব বা বারবার বাথরুমে যাওয়া- এই উপসর্গ দেখা দিলে সবাই শঙ্কিত হন। তার মানে কি ডায়াবেটিস হয়েছে? বয়স্ক ব্যক্তিদের বারবার বাথরুম যাওয়ার প্রবণতা বেশি। গর্ভবতী নারীরাও এ সমস্যায় ভোগেন। জেনে রাখুন, ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম লক্ষণ হলো ঘন ঘন বা অধিক প্রস্রাব অন্যান্য সমস্যায়ও হতে পারে। একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দিনে চার থেকে আটবার মূত্রত্যাগ […]
Read More
আমাদের দেশে অনেকেরই ধারণা একবার সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি হলে পরবর্তী প্রতিটি প্রেগনেনসিতে সিজার করার দরকার হয়। এমেরিকান প্রেগনেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট অনুযায়ী সিজারিয়ান ডেলিভারির পরও ৯০% মায়েরা পরবর্তী প্রেগনেন্সিতে নরমাল ভেজাইনাল ডেলিভারি করানোর জন্য উপযুক্ত থাকেন। এদের মধ্যে ৬০-৮০% মায়ের কোনো সমস্যা ছাড়াই সফলভাবে নরমাল ভেজাইনাল ডেলিভারি সম্ভব হয়। কিন্তু ডেলিভারি ট্রায়াল দেয়ার আগে দেখে নিতে […]
Read More
বয়সের সঙ্গে হৃৎপিন্ড ও ধমনির গঠনগত পরিবর্তনও হৃদরোগের জন্য অনেকাংশে দায়ী। হৃদরোগ সাধারণত বয়স্কদেরই হয়। মহিলাদের চেয়ে পুরুষরাই হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত হন। পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, তামাকজাতীয় দ্রব্য বর্জনের মাধ্যমে অনেকাংশে হৃদরোগ প্রতিরোধ সম্ভব হতে পারে। হৃদরোগ বলতে সাধারণভাবে হৃৎপিন্ড, রক্তবাহী ধমনি ও শিরা, মস্তিষ্ক এবং বৃক্ক সম্পর্কিত রোগ বোঝায়। হৃদরোগের অনেক কারণের মধ্যে […]
Read More
চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মত সরকার স্বীকৃত ডায়াবেটিস চিকিৎসা গাইডলাইন চালু হয়েছে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনিকেবল ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম যৌথভাবে এই ‘ডায়াবেটিস কেয়ার বাডাস গাইডলাইন ২০১৯’ প্রণয়ন করেছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং চিকিৎসকদের সুবিধার্থে অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক ডায়বেটিস চিকিৎসা সহায়িকা ‘ডায়াবেটিস জার্নি’ চালু করা হয়েছে। নতুন গাইডলাইনের […]
Read More