নাস্তায় কি খাবো?

সারাদিন ক্যালরি মেপে খাওয়াদাওয়া করে বিকেল বেলার এক আড্ডাতেই হয়ত খাওয়া হয়ে গেল পিৎজা, পেস্ট্রি কিংবা আইসক্রিম। অথবা দিন শেষে বাড়ি ফিরে বিকেলে চায়ের সঙ্গে একটু তেলে ভাজা কিংবা জিলাপি! ফলে সারা দিনের বাঁচানো ক্যালরির একটা বড় অংশই চলে যায় বিকেলের সামান্য এই নাস্তায়। ফলাফল, ওজনের কাটা কেবলই বাড়তির দিকে।

তাই বলে কি নাস্তা খাওয়া বাদ যাবে? আড্ডা হবে খালি মুখে? ক্ষুধা পেট চেপে শুধুই চা খেয়ে বিকেল পার?

একদম না! কয়েকটি ছোটখাটো নিয়ম মেনে নাস্তা খেলে পেটও ভরবে, সামাজিকতাতেও বাঁধা পড়বে না আবার ওজনের কাটাও থাকবে স্থির।

জেনে নিন নিয়মগুলো

১. চটপটি খুব ভালো একটি নাস্তা। এটি স্বাস্থ্যকর আর কম ক্যালরি সম্পন্ন। এতে খাদ্য-আঁশও থাকে প্রচুর পরিমাণে।

২. ক্ষুধা পেটে সুপ খেলে সবসময় পেট ভরতে চায় না। সুপের মধ্যে টোস্টেড ব্রাউন ব্রেড’য়ের টুকরা যুক্ত করুন, পেটও ভরবে মনও ভরবে।

৩. বাড়িতেই হোক বা রেস্তোরাঁ, পাস্তা অর্ডার দিলে হোল হুইট পাস্তা চান। চিজ পাস্তার বদলে খান পাস্তা সালাদ।

৪. ভাজাআলুর চপ না খেয়ে বেইকড আলু খান।

৫. চিকেন ফ্রাই’য়ের বদলে কাবাব খান। কাবাব থেকে প্রোটিন পাবেন ঠিকই আর ফ্যাট পাবেন কম।

৬. স্যান্ডউইচে মেয়োনেইজের বদলে ব্যবহার করুন টকদই। দইয়ের পানি ঝরিয়ে স্যান্ডউইচে ব্যবহার করলে খেতে একই রকম সুস্বাদু লাগবে।

৭. ভাজা খাবারের পরিবর্তে গ্রিল, সিদ্ধ, রোস্ট করা খাবারে প্রোটিন অনেক বেশি থাকে আর স্বাস্থ্যকরও। তাছাড়া খেতেও ভালো।

৮. ঘরে তৈরি পুডিং, ফিরনি বা পায়েস হলে বিকল্প চিনি দিয়ে তৈরি করুন।

৯. মুরগি বা হাঁসের মাংস খেলে চামড়া ছাড়িয়ে খান। অনেকটা ক্যালরি বাঁচাতে পারবেন।

১০. চা-কফিতে চিনি বাদ দিন। পারলে দুধও। আর দুধ খেতে হলে লো-ফ্যাট মিল্ক খান।

১১. বাদাম খুব ভালো একটি নাস্তা। একমুঠো বাদাম ক্ষুধাকে যেমন নিবৃত্ত করে তেমনি বডিটোনিং’য়েও সাহায্য করে থাকে।

১২. ছোলা, মটরডাল, মটরশুঁটি সিদ্ধ কিংবা কিডনি বিন সালাদ— বিকেলের নাস্তার জন্য খুবই উপযোগী।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *