অ্যাজমা প্রতিরোধে সতর্কতা

প্রকৃতিতে একটু একটু করে জাঁকিয়ে বসছে শীত। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে বাড়ছে অসুখবিসুখও। পুরো শীতকালই অ্যাজমা রোগীদের জন্য কষ্টকর। বায়ু দূষণের কারণে শ্বাস নেওয়ার কষ্ট তো আছেই, সেই সঙ্গে ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে।  

বিশেষজ্ঞরা শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমাকে ‘বংশগত অসুখ’ বললেই আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, দূষণের ফলে অ্যালার্জির কারণেও যে কেউ এ অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন। 

শীতকালে সুস্থ থাকতে শুরু থেকেই অ্যাজমা রোগীদের সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যেমন-

১. বাইরে থেকে ঘর্ ফিরে অবশ্যই সাবান বা হ্যাণ্ডওয়াশ দিয়ে ভালো ভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। শিশুদেরও নিয়মিত হাত ধুতে উৎসাহিত করুন। এতে জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যাবে।

২. শীতের শুরু থেকেই বাইরে ব্যায়াম করার পরিবর্তে ঘরেই ব্যায়ামের চেষ্টা করুন। এতে ঠাণ্ডা লাগার ঝুঁকি কমে যাবে।

৩. অফিস শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলে অবশ্যই কান-মাথা ঢেকে বসুন। গায়ে পাতলা চাদর ব্যবহার করুন। আবার ঘাম হচ্ছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখুন। কারণ ঘাম বসে ঠাণ্ডা লাগলেও বিপদ বাড়বে।

৪. হাতের কাছে ইনহেলার রাখুন। যখন তখন কাজে আসতে পারে।

৫. গরম চা অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারী। তবে সেক্ষেত্রে দুধ চায়ের পরিবর্তে লিকার চা বা গ্রিন টি খেতে পারেন।

৬. পশু-পাখির লোমে অ্যালার্জি থাকলে ঋতু পরিবর্তনের সময় পোষা প্রাণীর সঙ্গ এড়িয়ে চলুন। 

৭. ঠাণ্ডা লাগলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অল্প সরিষার তেল হাতের তালুতে নিয়ে বুকে মাসাজ করলেও কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। 

৮. ইউক্যালিপটাস তেল অ্যজমা প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। গরম পানিতে দু’ফোটা এই তেল দিয়ে ভেপার নিলে উপকার পাওয়া যাবে। 

৯. এ সময় ঠাণ্ডা পানীয়, আইসক্রিম, ফ্রিজে পাতা দই এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে গরম স্যুপ খেলে উপকার পাবেন।  

১০. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করুন। 

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *