![](http://healthjournal.com.bd/wp-content/uploads/2019/11/Male_contraception.jpg)
অবশেষে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার সফলভাবে ক্লিনিকাল ট্রায়াল সম্পূর্ণ করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকাল রিসার্চ। বিশ্বে পুরুষদের জন্য প্রথম ইনজেক্টেবল কনট্রাসেপ্টিভের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের পর তা অনুমোদনের জন্যে পাঠানো হয়েছে ড্রাগ কনট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছে (DCGI)। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা এমনটাই জানিয়েছেন।
জানা গেছে, একবার এই কনট্রাসেপ্টিভ ইনজেকশন নিলে তার প্রভাব থাকবে ১৩ বছর। তারপরই চলে যাবে এর প্রভাব। সার্জিকাল ভ্যাসেক্টমিরবিকল্প হিসেবেই ব্যবহার করা হবে এই ইনজেকশন।ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকাল রিসার্চের সিনিয়র বিজ্ঞানী ডা. আর এস শর্মা জানিয়েছেন, ‘প্রডাক্ট তৈরি হয়ে গেছে। ড্রাগস কনট্রোলারের থেকে অনুমোদ পাওয়ার অপেক্ষায় আমরা। ট্রায়ালও হয়ে গেছে। এর জন্য ৩০৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ৯৭.৩ শতাংশ সাকসেস রেট পেয়েছি আমরা। দেখা দেয়নি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এই প্রডাক্টকে নিশ্চিন্তে বিশ্বের প্রথম পুরুষ কনট্রাসেপ্টিভ বলা যেতে পারে।’
পুরুষদের জন্য গর্ভনিরোধক নিয়ে গবেষণা করছেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরাও। তবে তারা এখনও পর্যন্ত কোনও সাফল্য পাননি। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, ২০১৬ সালে পুরুষদের কনট্রাসেপ্টিভের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তা মাঝ পথেই বন্ধ করা হয় বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায়।
ভারতের তৈরি এই কনট্রাসেপ্টিভ এক ধরনের পলিমার, যা টেসটিকিলসের কাছে শুক্রাণু টিউবের মধ্যে ইনজেক্ট করতে হবে। তবে এর জন্য লোকাল অ্যানাস্থেশিয়ার প্রয়োজন হবে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পলিমারটি ৭০-এর দশকে প্রথম তৈরি করেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক এস কে গুহ। ১৯৮৪ সাল থেকে এর উপর বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা চালানো হয়েছে। সূত্র: এই সময়