প্রতিবছর ৩০ হাজার কিডনি রোগী চিকিৎসার অভাবে মারা যায় !

প্রতিবছর দেশে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে। দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতিবছর দেশে ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হয় এবং চিকিৎসার অভাবে ৮০ ভাগ রোগীর মৃত্যু হয়।

কিন্তু নীরব ঘাতক কিডনি রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। রাজধানীর কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শনিবার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৪০ হাজার কিডনি অকেজো রোগীর মধ্যে মাত্র ১০ হাজার রোগী ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজন করার সুযোগ পায়। বাকি ৩০ হাজার রোগী চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। কারণ কিডনি বিকলের চিকিৎসা ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুল মালিক।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. এএসএম মতিউর রহমান ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের (বাডাস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে লন্ডনের রয়েল হসপিটালের অধ্যাপক মাগদী ইয়াকুব উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, নীরব ঘাতক কিডনি রোগ কোনো উপসর্গ ছাড়াই কিডনির ক্ষতি করে। দেশে ব্যাপক হারে কিডনি রোগী বাড়ছে। তিনি বলেন, নীরবে অনেকের কিডনি পরিপূর্ণ বিকল হয়ে যাচ্ছে।

অথচ কিডনি রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব। এজন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ রোগ প্রতিরোধে ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও কায়িক শ্রম, অতিরিক্ত লবণ পরিত্যাগ, ফাস্টফুড, চর্বিজাতীয়, ভেজাল খাবারসহ ধূমপান বর্জন করার পরামর্শ দেন তিনি।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *