অনৈতিক বাণিজ্যের শিকার রোগীরা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শহিদুল ইসলাম চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেন। সেখানে তিনি উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে রাজধানীর মহাখালী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএসটি) বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (রেডিওলজি) কোর্সে অধ্যয়নের ইচ্ছা পোষণ করে এক বছরের জন্য প্রেষণে ছুটি চান। তার আবেদন আমলে নিয়ে পরিচালক ছুটি মঞ্জুর করেন। চলতি বছরের ১ এপ্রিল ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে ছাড়পত্র দিয়ে এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

এরপর শহিদুল ইসলাম ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে মহাখালীর আইএসটিতে বিএসসি ইন হেলথ টেকনোলজি (রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং) অনুষদে ভর্তি হন। ভর্তির পর তিনি এক দিনও ক্লাসে যাননি। আগের মতোই হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে প্রায় চার মাস দায়িত্ব পালনের পর বিষয়টি পরিচালকের নজরে আসে। এ ধরনের দায়িত্ব পালনে পরিচালক অসন্তোষ প্রকাশ করে তাকে আইএসটিতে ফিরে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন। এরপরও তিনি আইএসটিতে ফেরেননি। কিছুদিন পর ওই কোর্সে ভর্তি বাতিলের জন্য প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কাছে তিনি আবেদন করেন। আবেদনে তিনি পারিবারিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে ঢামেক হাসপাতালে আগের পদে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। ওই আবেদন আমলে নিয়ে আইএসটি কর্তৃপক্ষ তার ভর্তি বাতিল করে মূল কর্মস্থলে যোগদানের আদেশ জারি করে। চলতি বছরের ৫ আগস্ট তাকে আইএসটি থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরদিন ৬ আগস্ট ঢামেক হাসপাতালে যোগদানপত্র দাখিল করেন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রেষণাদেশ বাতিল না করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার যোগদানপত্র গ্রহণ করেনি। উচ্চপর্যায়ে লবিং-তদবির করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২৫ আগস্ট শহিদুল ইসলাম নিজের প্রেষণাদেশ বাতিল করাতে সক্ষম হন। ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পেছনের তারিখ ৬ আগস্ট থেকে তার যোগদানপত্র গ্রহণ করে।

নেপথ্যের ঘটনা: মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শহিদুল ইসলাম উচ্চশিক্ষার জন্য প্রেষণে ছুটি নিয়ে বিএসসি কোর্সে ভর্তি হওয়ার পরও কেন আগের কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করছিলেন? আবার কেনই বা মাঝপথে কোর্সে ভর্তি বাতিল করে আগের কর্মস্থলে ফিরে গেলেন? সে সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে চমকপ্রদ তথ্য মিলেছে। ঢামেক হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে প্রায় একশ’ রোগীর সিটি স্ক্যান ও এমআরআই পরীক্ষা হয়। এ পরীক্ষায় কনট্রাস্ট বা ডাই নামে এক ধরনের ইনজেকশন ব্যবহার হয়। পরীক্ষার আগে রোগীর শরীরের শিরাপথে এটি ব্যবহার করা হয়। রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সংশ্নিষ্ট চিকিৎসক তা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ, ডায়াবেটিস ও কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য এই কনট্রাস্ট অত্যন্ত ক্ষতিকর। অথচ বেশিরভাগ টেকনোলজিস্ট চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এ কনট্রাস্ট ব্যবহার করেন। এর পেছনে রয়েছে তাদের অনৈতিক বাণিজ্য। একটি কনট্রাস্ট ব্যবহার করলেই এক থেকে দেড় হাজার টাকা লাভ করা যায়। শহিদুল ইসলাম নামের ওই রেডিওলজিস্টও এ ধরনের অনৈতিক বাণিজ্য করতেন। এ বাণিজ্য করেই দিনে তিনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে আয় করেন। উচ্চশিক্ষার কোর্সে ভর্তি হয়ে নিয়মিত ক্লাস করলে তার পক্ষে এই টাকা উপার্জনের সুযোগ থাকত না। এ কারণে তিনি কোর্সে ভর্তি হওয়ার পরও ক্লাস না করে আগের কর্মস্থলেই কাজ করে গেছেন। পরিচালকের বাধা পেয়ে উচ্চশিক্ষা কোর্সের ভর্তি বাতিল করে তিনি আগের কর্মস্থলে ফেরেন।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে শহিদুল ইসলাম বলেন, মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি বিএসসি কোর্সের ভর্তি বাতিল করে কর্মস্থলে ফিরে আসেন। এর সঙ্গে কনট্রাস্ট কিংবা অন্য কিছুর কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, শহিদুল ইসলাম নামের ওই টেকনোলজিস্টের অনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত হওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্যদেরও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিষয়টি আরও ভালোভাবে মনিটর করা হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কেউ যাতে কনট্রাস্টের ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য নেওয়া হবে পদক্ষেপ।

সংশ্নিষ্টরা বলেছেন, রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার চিত্র স্বচ্ছভাবে দেখার জন্য এ কনট্রাস্ট বা ডাই ব্যবহার করা হয়। সিটিস্ক্যানের জন্য আইকা মেরু ও লোপা মেরু নামে কনট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া এমআরআই পরীক্ষার জন্য ওমনি স্ক্যান ও ডায়াস্ক্যান নামে কনট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়। হোল অ্যাবডোমেন সিটি স্ক্যান বা এমআরআইর ক্ষেত্রে এই কনট্রাস্ট ব্যবহার করতে হয়। অথচ প্রায় সব রোগীর ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে রোগীর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

ঢামেক হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সদ্য সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান কনট্রাস্ট বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি সমকালকে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে সম্প্রতি তাকে বদলি করা হয়েছে। সুতরাং আগের কর্মস্থল সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি।

তবে তিনি বলেন, কিডনিজনিত সমস্যা থাকলে তাদের কোনোভাবেই কনট্রাস্ট দেওয়া যাবে না। তাহলে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। একই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনোভাবেই এই কনট্রাস্ট ব্যবহার করা যাবে না।

কনট্রাস্ট বাণিজ্যের চিত্র: ৫ সেপ্টেম্বর ঢামেক হাসপাতালের সকালের শিফটে ১৬ জনের সিটি স্ক্যান করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ জনের ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়। বিকেলের শিফটে দায়িত্ব পালন করেন শহিদুল ইসলাম। সে সময় নয়জনের সিটি স্ক্যান করা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জনের ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়। দু’জনের পরীক্ষা ফ্রি করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সকালে ১৫ জনের মধ্যে ছয়জন এবং বিকেলে ১৩ জনের মধ্যে পাঁচজনের ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর সকালে ১৫ জনের মধ্যে নয়জন এবং বিকেলে ১২ জনের মধ্যে সাতজনের ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর ১৬ জনের মধ্যে আটজনের ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়।

এমআরআই পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৯ সেপ্টেম্বর ১৮ জনের মধ্যে চারজনকে ফ্রি করা হয়। বাকি ১৪ জনের মধ্যে সাতজনের ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়। ১১ সেপ্টেম্বর সকালে ১৬ জনের মধ্যে তিনজন ফ্রি। বাকি ১৩ জনের মধ্যে নয়জনের ক্ষেত্রে কনট্রাস্ট ব্যবহার করা হয়। একই দিন বিকেলে ১৩ জনের মধ্যে ছয়জনের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। শহিদুল ইসলামের পাশাপাশি অন্য টেকনোলজিস্টরাও অনৈতিক এই কনট্রাস্ট বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।

মজিদ, নিখিল ও মিরাজ নামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের তিন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রোগীদের এই কনট্রাস্ট ব্যবহার করে আসছিলেন। বিষয়টি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইকবাল হোসেনের নজরে এলে তিনি সম্প্রতি ওই তিন টেকনোলজিস্টকে সতর্ক করেন। ভবিষ্যতে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কনট্রাস্ট ব্যবহার না করার নির্দেশ দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আব্দুল মজিদ বলেন, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের কয়েকজনকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। লিখিতভাবে কিছু করা হয়নি। তবে নিজেকে সতর্ক করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢামেক হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেও একইভাবে এই অনৈতিক বাণিজ্য চলছে। রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ক্যান্সার হাসপাতালেও একই চিত্র পাওয়া গেছে। এসব হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই কনট্রাস্ট ব্যবহার করেন। ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মূল্যের এই কনট্রাস্ট রোগীদের কাছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। কিডনি ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা আছে- এমন রোগীর জন্য এই কনট্রাস্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও তাদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

কনট্রাস্ট কী এবং কেন ব্যবহার করা হয়: রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শিবেন্দু মজুমদার বলেন, সিটি স্ক্যান পরীক্ষায় আয়োডিন জাতীয় পদার্থ কনট্রাস্ট হিসেবে স্ক্যানের আগে শিরাপথে ব্যবহার করা হয়। এ আয়োডিন কনট্রাস্ট রক্তের সঙ্গে মিশে যায় এবং শরীরের যে অংশ স্ক্যান করা হয় ওই অংশের প্রবহমান রক্তের ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে বেরিয়াম কনট্রাস্ট রোগীকে কয়েক ঘণ্টা আগে খেতে দেওয়া হয়। এসব কনট্রাস্ট পদার্থের সবচেয়ে বড় অসুবিধা জীবন বিপন্নকারী অ্যালার্জিক রি-অ্যাকশন। যেসব রোগীর আগে থেকেই কিডনি ও ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা থাকে, আয়োডিন তাদের কিডনির কার্যক্রম আরও খারাপ করে দিতে পারে। তাই সামান্য কিডনি বিকল রোগীদের কনট্রাস্ট সিটিস্ক্যানের আগে ও পরে শরীরে পানির সমতা রক্ষা করতে হয়। কিন্তু মাঝারি ধরনের কিডনি বিকল রোগীদের ক্ষেত্রে এ জাতীয় সিটিস্ক্যান না করানো ভালো।

কনট্রাস্ট এমআরআই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে গ্যাডোলিনিয়াম কনট্রাস্ট শিরাপথে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই গ্যাডোলিনিয়াম কিডনি বিকল রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক। কাজেই কনট্রাস্ট এমআরআইয়ের পরামর্শ দেওয়ার আগে রোগীর কিডনি ভালো আছে কি-না তা জেনে নিতে হবে।

সংশ্নিষ্টরা জানান, এই গ্যাডোলিনিয়ামকে ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (ইউএসএফডিএ) কিডনির জন্য ক্ষতিকর বলে ঘোষণা করেছে।

সরকারি হাসপাতালে সিটি হোল অ্যাবডোমেন চার হাজার টাকা, ব্রেইন দুই হাজার, চেস্ট আড়াই হাজার, আপার ও লোয়ার অ্যাবডোমেন দুই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। অন্যদিকে এমআরআই তিন হাজার টাকা এবং কনট্রাস্ট দিলে চার হাজার টাকা নেওয়া হয়। তবে বেসরকারি হাসপাতালে এসব পরীক্ষার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া নেই। এ কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে আলাদা বিল নেওয়া হয়। তবে বেসরকারি হাসপাতালে ৯ হাজার টাকার নিচে সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই করার সুযোগ নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অপ্রয়োজনীয় এ ধরনের কিছু ব্যবহার করা হয়ে থাকলে তা অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিপন্থি। সংশ্নিষ্ট শাখায় খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্রঃ সমকাল

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *