ক্যান্সারের উপাদান থাকায় ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত ভারতের দুটি কোম্পানির কাঁচামাল আমদানি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালে বাংলাদেশে তৈরি রেনিটিডিন ট্যাবলেট বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের মেসার্স সারাকা ল্যাবরেটরিজ ও মেসার্স ডা. রেড্ডি নামে দুটি কোম্পানির কাঁচামাল ব্যবহূত হয় রেনিটিডিন উৎপাদনে। রোববার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। খবর সমকালের ।
ইউরোপিয়ান ডাইরেক্টরেট ফর দ্য কোয়ালিটি অব মেডিসিন (ইডিকিউএম) রেনিটিডিন ক্যাপসুলের মধ্যে ‘এন-নিট্রোসডিমিথাইলামাইন (এনডিএমএ)’ নামে পরিবেশ দূষণজনিত উপাদানের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর বাজার থেকে ওই ওষুধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) ওষুধ কোম্পানিও রেনিটিডিন এইচসিএল আইপি ট্যাবলেট বাজার থেকে প্রত্যাহার করেছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, ওষুধ শিল্প সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিদেশি ওই দুই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্নেষণ করে সারাকা ল্যাবরেটরিজ ও ডা. রেড্ডি নামে দুই প্রতিষ্ঠানের রেনিটিডিন হাইড্রোক্লোরাইড কাঁচামাল আমদানির ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই কাঁচামালে তৈরি ট্যাবলেটও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেনিটিডিন নিষিদ্ধ করেনি কিংবা নিষিদ্ধের সুপারিশও করেনি। কোম্পানিগুলো নিজস্ব উদ্যোগেই ওষুধগুলো বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল আমদানি আপাতত বন্ধ রাখার পাশাপাশি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।’
দেশে কতটি কোম্পানি ভারতের এই দুই কোম্পানির রেনিটিডিন হাইড্রোক্লোরাইড কাঁচামালে রেনিটিডিন ট্যাবলেট তৈরি করছে সে সম্পর্কে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানায়নি।