মশার কামড়ে প্রতিবছর মারা যান ১০ লাখ মানুষ

এখন দেশে প্রতিদিন ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ, মারা যাচ্ছেন।ফলে ডেঙ্গু আতঙ্কে সারা দেশের মানুষ যখন ঠিক সেই সময়ই এল এবারের মশা দিবস। প্রতিবছরের মতো আজ দিনটি পালিত হচ্ছে।

মশা দিবসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে একজন চিকিৎসকের নাম। রোনাল্ড রস (১৮৫৭-১৯৩২) নামের এই ব্রিটিশ চিকিৎসককে সম্মান জানাতেই যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগ দিবসটি পালনের সূচনা করেছিলো। ১৯৩০ সালের দিকে শুরু হওয়া বিশ্ব মশা দিবস পালনের আনুষ্ঠানিকতা দিন দিন বাড়ছে।বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ও বিপদজনক হত্যাকারী প্রাণী হিসেবে এখন বিবেচনা করা হচ্ছে মশাকে।মশাবাহিত জীবানুতে সংক্রমিত হয়ে অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ মারা যায় প্রতিবছর , এ তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। জীবাণু বহনকারী মশার কথা বলতে গেলে সবার আগে আসবে ‘অ্যানোফিলিস মশার’ কথা। বিশ্বে কমপক্ষে ৪৬০ রকমের অ্যানোফিলিস মশা রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ২০ ভাগ মশা রোগজীবাণু ছড়ায় অ্যানোফিলিস সেরকমই এক মশা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ শতকরা ৪৭ ভাগ কমেছে ঠিকই, তারপরও প্রতি মিনিটে একটি শিশু ম্যালেরিয়ার কারণেই মারা যাচ্ছে এবং এডিস মশার কারণে মারা যাচ্ছে বর্তান বিশ্বে বেশি।ডাব্লিউএইচও বলছে, এডিস মশা মূলত এশিয়া থেকেই আফ্রিকা, অ্যামেরিকা হয়ে ইউরোপেও ছড়িয়েছে।আরেকটি ভয়ংকর ব্যাপার অন্তসত্ত্বা নারী মশাবাহিত ভাইরাস ‘জিকায়’ সংক্রমিত হলে তাঁর সন্তান ছোট মস্তিস্ক নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। শিশুদের এ অবস্থা চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী ‘মাইক্রোসেফালি’ নামে পরিচিত। ‘মাইক্রোসেফালি’-এর কারণে শিশুর মস্তিস্ক গঠন ঠিকমতো হয় না, ফলে শিশু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে হয়।প্রতিবছর ৭১ হাজার শিশু মশার কামড়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *