ডিমের পুষ্টিগুণ

শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ পর্যন্ত প্রায় সবাই ডিম খেতে পছন্দ করেন। স্বাচ্ছন্দ্যবোধও করেন কেউ কেউ। অনেকে রান্নার ঝামেলা এড়াতে রুটির সঙ্গে ডিম পোছ করে খেয়ে থাকেন। শরীর দুর্বল হলে চিকিৎসক সকালবেলার নাশতার সঙ্গে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর রয়েছে অনেক কারণ।

ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন। অন্যান্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের চেয়ে এটি দামেও সস্তা। হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই, ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। আরও রয়েছে ভিটামিনএ, বি৫, বি১২, বি৬, ডি, ই, কে, ফোলেট, ফসফরাস, সেলিনিয়াম, ক্যালিয়াম ও জিংক। প্রতিটি ডিমের মধ্যে রয়েছে পাঁচ গ্রাম প্রোটিন। তাই সবার ডিম খাওয়া উচিত। রয়েছে কোলিন। ডিম হচ্ছে এমন একটি খাবার, যাতে কোলিন কোষের মেমব্রেন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ডিম খাওয়া ভালো।

ডিমের মধ্যে রয়েছে জিক্সাথিন ও লুটেইন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডিম খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। শুধু তা-ই নয়, ডিম চোখের ছানি প্রতিরোধে করে। ডিমের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভালো চর্বি। অনেকে ভাবেন, সব চর্বিই খারাপ। কথাটি সঠিক নয়। স্বাস্থ্যকর চর্বিও রয়েছে। এটি শরীরের জন্য ভালো।

অনেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিদিন ডিম খেতে মানা করা হয় বা ডিমের কুসুম খেতে নিষেধ করা হয়। ডিম তো খাবেনই, তবে প্রতিদিন ডিম খাবেন কিনা বা কতটুকু খাবেন, এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *