স্বাস্থ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করার উদ্যোগ গ্রহণ বিষয়ক আলোচনা

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়াসহ বিশ্বমানে গড়ে তোলার জন্য চলছে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ।

জাতীয় কর্মপরিকল্পনা খসড়া প্রণয়নে বুধবার (১০ জুলাই) এ বিষয়ে জড়িত সব পক্ষকে নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সভাকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। 

সভায় তিনি বলেন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা একটি বৈশ্বিক বিষয়। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি ২০০৫-এ স্বাক্ষরকারী হিসেবে বৈশ্বিক মানে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি বাস্তবসম্মত কর্মপরিকল্পনা গড়ে তোলার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য কর্মপরিকল্পনাকে গতিশীল ও পরিবর্তনযোগ্য হতে হবে।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মেডিক্যাল সার্ভিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মো. ফসিউর রহমান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির বাংলাদেশের পরিচালক ডা. মাইকেল ফ্রিডম্যান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ডা. হাম্মাম এল সাক্কা। 

সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইইডিসিআরের পরিচালক ও বাংলাদেশের জিএইচএসএ-এর ফোকাল পারসন অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

সভা পরিচালনা করেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এম. সেলিম উজ্জামান।
 
মূল বক্তব্যে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে কতোটুকু সক্ষমতা অর্জন করেছে তা সর্বশেষ মূল্যায়ন হয় ২০১৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে। সে মূল্যায়নের পরে গত তিন বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি। তবে লক্ষ্য অর্জনে আরও অনেক করণীয় রয়েছে। সে করণীয়গুলো তুলে ধরার জন্যই আমাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে ও তা বাস্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। তিনি আগামী স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা-পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচিতে ও পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনাতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বাস্তবায়নে পৃথক বরাদ্দ রাখার অনুরোধ জানান।
 
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক কালাম আজাদ বলেন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে আমাদের জাতীয় প্রচেষ্টার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগীদের প্রচেষ্টাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ লক্ষ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
 

সুত্র ঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *