মশা ধ্বংস করলে ডেঙ্গু কমার কথা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর উপদ্রব অনেক বেশি উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মশা ধ্বংস করলে ডেঙ্গুর প্রকোপ না বেড়ে কমার কথা। মঙ্গলবার সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালনের প্রস্তুতি সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান।

ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কার্যক্রমে আপনি সন্তুষ্ট কিনা- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওনারা তো ওনাদের চেষ্টা করছেন, কিন্তু রোগীর সংখ্যা তো বাড়ছে। রোগীর সংখ্যা যদি বেড়ে যায়….আমরা আশা করব রোগীর সংখ্যা যাতে না বাড়ে। মশার উৎপত্তিস্থল যদি ধ্বংস করা হতো, মশার সংখ্যা কমে যেত, তাহলে তো ডেঙ্গু বাড়ার কথা নয়, কমার কথা।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আরও জোরেশোরে কাজ হওয়া প্রয়োজন, যাতে মশার সংখ্যা কমে যায়, তাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত লোকের সংখ্যাও কমে যাবে।’

‘রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যেহেতু প্রত্যেকদিন বৃষ্টি হচ্ছে, তাই মশাও বেড়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গুর হারও বেড়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি হাসপাতালেই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী আমরা পাচ্ছি’, বলেন জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বর্ষার দিন, বর্ষার কারণে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। মশার উপদ্রবের কারণে ডেঙ্গু হচ্ছে। ডেঙ্গুজনিত কারণে দু-একটি মৃত্যুও ঘটেছে। আমরা হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের ডাক্তার-নার্সদের অবহিত করা হয়েছে, তারা যাতে ভালভাবে চিকিৎসাটা ভালভাবে দিতে পারেন প্রশিক্ষণও তাদের দেয়া হয়েছে।’

মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য জনগণকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর ডেঙ্গুর উপদ্রব অনেক বেশি। রোগীর সংখ্যাও অনেক বেশি ইতোমধ্যে আমরা পেয়েছি। আমাদের চেষ্টা অনুযায়ী চিকিৎসা আমরা দিচ্ছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে, হাসপাতালে যাতে কোনো মৃত্যু না ঘটে, কোনো অবহেলার কারণ নেই। আমরা বেডের ব্যবস্থা করেছি।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা আশা করব দুই সিটি করপোরেশন যাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাদের নিয়েও মিটিং করেছি। তাদের আহ্বান জানিয়েছি বেশি করে স্প্রে করুন, যাতে মশার উৎপত্তিস্থল ধংস করা হয়। তাতে ডেঙ্গু কন্ট্রোল করা যাবে, মশা কন্ট্রোল করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটাও বলছি- জ্বর হলে কেউ যাতে দেরি না করেন, তাড়াতাড়ি যাতে স্বাস্থ্য সেবাটা গ্রহণ করেন। সময়মতো স্বাস্থ্য সেবা নিলে ডেঙ্গুতে ঝুঁকি নেই, দেরি করলেই সমস্যা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাটা বেশি থাকে।

এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে সচিব মো. আসাদুল ইসলাম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *