অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

দেশে অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে নীতিমালা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে ওই কমিটি গঠন করতে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিকে নীতিমালা প্রণয়ন করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আজ রোববার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।

জনস্বার্থে বাংলাদেশ বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) আজ ওই রিট করে। পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত আগামী ৫ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রাশনা ইমাম। তিনি বলেন, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অন্তঃসত্ত্বার অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিবাদীদের চার সপ্তার মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, ছয় মাসের মধ্যে একটি নীতিমালা আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। নীতিমালার মূল বিষয়টা হবে যে অপ্রয়োজনীয় যে সিজারিয়ান সেকশনগুলো হচ্ছে, এটার হার যে বাড়ছে সেটা কমানোর।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের তথ্য তুলে ধরে এই আইনজীবী আরও বলেন, শতকরা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বেশি সি-সেকশন কোনো দেশেরই প্রয়োজনীয় হতে পারে না। বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে এটা প্রায় ৩১ শতাংশ। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশ ও সরকারি হাসপাতালে এটার হার ৩৫ শতাংশ। এনজিও হাসপাতালগুলোতে ৩৯ শতাংশ। এই যে একটা অ্যালার্মিং রাইজ, রেটটা যে বাড়ছে এটা থামানোর জন্য এ রিট।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *