ঢাকায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ!

ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয় বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

আজ সোমবার সকালে ফার্মগেটের খামারবাড়িতে আ. কা. মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী মিলনায়তনে ‘বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত বাজার তদারকির গেল ছয় মাসের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ঢাকা শহরের প্রায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে।’

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ভোক্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় অনেক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করার পাশাপাশি কয়েকটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তিনি বলেন, এই ধরনের প্রতারণা রোধে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারা দেশেই তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। তদারকি টিম কখনো ক্রেতা সেজে, আবার কখনো ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে ফার্মেসিগুলোর কার্যক্রম নজরদারির আওতায় রেখেছে।

৭ জুন সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালিত হয়। এবারই প্রথম বেসরকারিভাবে দিনটি পালন করছে বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ উপলক্ষে ওই দিন থেকেই সারা দেশের সুপার মার্কেটগুলোয় সপ্তাহব্যাপী ‘ভোক্তা সেবা সপ্তাহ’ পালিত হচ্ছে।

এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নিয়াজ রহিম, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ছাড়াও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্যসংকট নিয়ে দুশ্চিন্তা না থাকলেও এখন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বক্তারা বলেন, খাদ্যপরিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর বিশ্বের ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। এর আর্থিক ক্ষতিও প্রচুর। আর নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার বিষয়টি কারও একক দায়িত্ব না। এ ক্ষেত্রে ভোক্তাকেও সতর্ক হতে হবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *