সরকারি ম্যাটস ও আইএইচটিতে ভর্তি পরীক্ষা ১২ জুলাই

স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন সরকারি ৯টি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও ১৩টি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি)-তে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

আগামী ১২ জুলাই (শুক্রবার) অভিন্ন প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ উত্তরপত্র ওএমআর মেশিনে নিরীক্ষা করা হবে।

গত ১৫ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বর্তমানে বাগেরহাট, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরায় অবস্থিত ৯টি ম্যাটস-এ ৩ বছর মেয়াদি কোর্স এবং এক বছর ইন্টার্নি ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। মোট আসন সংখ্যা ৮১৮টি।

অন্যদিকে ঢাকা, রাজশাহী, বগুড়া, চট্টগ্রাম ,বরিশাল, রংপুর, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ, সাতক্ষীরা, শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি জামালপুর, গোপালগঞ্জ ও গাজীপুরে তিন বছর মেয়ামি ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সের বিভিন্ন অনুষদে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। মোট আসন সংখ্যা ২ হাজার ৭৯১টি।

ভর্তির যোগ্যতা :

২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ ন্যূনতম জিপিএ ২ দশমিক ৫ প্রাপ্ত হতে হবে। জীববিজ্ঞান বিষয় অবশ্যই থাকতে হবে।

যে সকল প্রার্থী ও-লেভেল বা বিদেশ থেকে পাশ করেছেন তাদের দুই হাজার টাকার পে-অর্ডার জমা প্রদান করে পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়নের কাজ থেকে ইকুইভ্যালেন্স সার্টিফিকেট আইডি কোড সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া ফরম পূরণ করা যাবে না। বিভাগীয় প্রার্থীরা পূর্বে পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন স্বাস্থ্য অধিদফতর মহাখালী ঢাকা কাছ থেকে আইডি কোড সংগ্রহ করবেন।

ভর্তির দরখাস্ত এসএমএসের মাধ্যমে করতে হবে। এসএমএস ও অনলাইনে আবেদন শুরু তারিখ ২১ মে সকাল ১০টা থেকে ১৮ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। প্রবেশপত্র ডাউনলোড আগামী ৪ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত। প্রিপেইড টেলিটকের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন ফি ৭০০ টাকা প্রদান করতে হবে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি উভয় ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

ভর্তির জন্য সাময়িকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা এবং অপেক্ষমাণ তালিকা একই সঙ্গে প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, সরকারি-বেসরকারি ইনস্টিটিউটে ভর্তিচ্ছু ছাত্রছাত্রীদের এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *