গরমে দূর করুন ঘামাচি

তীব্র তাপদাহ বইছে গোটা দেশ জুড়ে। বাতাসের আর্দ্রতার কারণে হাঁসফাঁস গরমের অনুভূতি আরও বাড়ছে। তাপপ্রবাহের মধ্যে বাইরে বের হতে ইচ্ছে না করলেও কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হতেই হয়। সেই সঙ্গে বাড়ে ঘামাচির সমস্যা।এটা এমন এক অস্বস্তিকর সমস্যা যাতে সারা শরীরে জ্বালাপোড়া করে, চুলকায়। 

ঘামাচি থেকে বাঁচতে অনেকেই বাজারে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের পাউডার ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে ত্বকের গ্রন্থিগুলোর মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তাতে ঘামাচি আরও বেড়ে যায়। ঘামাচির সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-

১. ঘামাচির জ্বালাপোড়া দূর করতে নিমপাতার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।এক মুঠো নিমপাতা গুঁড়া করে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগান। কয়েক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তিন-চারদিন এটা ব্যবহার করলে ঘামাচি অনেকটা কমে যাবে। 

২. বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগান। ১৫ মিনিট পর মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঘামাচির সমস্যা দূর হবে। 

৩. অ্যালোভেরা গাছের পাতার রস বের করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।বাজারে পাওয়া বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেলও লাগাতে পারেন।এতেও ঘামাচি কমে যাবে। 

৪. চার চামচ মূলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচির অংশে লাগিয়ে রাখুন।কয়েক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এটা ঘামাচি কমাতে সাহায্য করবে। 

৫. এক কাপ পানিতে আধ চামচ বেকিং সোডা গুলে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এর পর একটি পরিষ্কার কাপড় বা তুলা এতে ভিজিয়ে ঘামাচির জায়গায় লাগান।এটিও ঘামাচি কমাতে ভূমিকা রাখবে। 

৬. আলু পাতলা করে কেটে ঘামাচির অংশগুলিতে লাগান। এতে চুলকানি ও ঘামাচি দুই কমবে।

৭. তরমুজের বীজ ছাড়িয়ে শাঁসটি সরাসরি ঘামাচিতে লাগান। টানা কয়েকদিন এটা করলে ঘামাচির সমস্যা কমে যাবে। 

৮. বরফের টুকরা সকালে ও রাতে একবার করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগান।এতে ঘামাচি তাড়াতাড়ি কমে যাবে। 

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *