মুখ ধোয়ার নিয়ম

বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আয়নায় চোখ পড়তেই মুখমণ্ডলের নিষ্প্রভ ত্বক দেখে মুষড়ে পড়েন। ত্বকের সুস্থতায় এত কিছু করেও তা সুন্দরভাবে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। কিন্তু ত্বক সুন্দর রাখার প্রথম শর্ত হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা। আর এ পরিচ্ছন্নতার কাজটি সঠিকভাবে করতে না পারলে ত্বক ভালো থাকে না। তাই রোজ যেভাবে মুখ ধুতে হবে, তা জেনে নিন—

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য মুখ পরিষ্কার করা খুব প্রয়োজন। ক্লিনজিং মিল্ক অথবা ত্বকের উপযোগী ফেশওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। মুখ ধোয়ার সময় গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ গরম পানি ব্যবহার করার ফলে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। তুলার প্যাডে ক্লিনজিং মিল্ক নিয়ে ত্বক ভালোভাবে মুছে নিন। এতে করে ত্বকের উপরিভাগে লেগে থাকা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর ঠাণ্ডা পানির ঝাপটায় ধুয়ে ফেলুন।

ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করতে না পারলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত গরম পানির ভাপ নিতে পারলে ত্বক গভীর থেকে ময়লা ও জীবাণুমুক্ত থাকে। কারণ এতে করে রোমকূপ খুলে যায় ও সব ময়লা বের হয়ে আসে। তবে গরম পানির ভাপ বেশি সময় ধরে নেয়া যাবে না। সর্বোচ্চ ৫ মিনিট গরম পানির ভাপ নেয়া যাবে। ভাপ নেয়া হয়ে গেলে টিস্যু দিয়ে চেপে চেপে মুখ মুছে ফেলতে হবে। এর পর আইস কিউব ঘষে রোমকূপ বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে ধুলাবালি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে না পারে।

ত্বকের উপরিভাগে মরা কোষ জমা হয় প্রায় সবারই। কারো কারো ক্ষেত্রে অনেক বেশি মরা কোষ দেখা দেয় ত্বকে। তাই সমপরিমাণ মধু ও চিনি মিশিয়ে মুখ স্ক্র্যাব করে ফেলুন। সর্বোচ্চ ৫ মিনি স্ক্র্যাব করা যেতে পারে। এর পর ৩ মিনিট এ মিশ্রণ ত্বকে রেখে দিন। এর পর ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের ধরন যেমনই হোক না কেন, ত্বকে পুষ্টি ও আর্দ্রতা জোগানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে ফেসপ্যাক লাগানো। ফল দিয়ে তৈরি প্যাক সেক্ষেত্রে বেশ উপকারী। কলা, টমেটো ও পেঁপেসহ ঋতুভিত্তিক যেকোনো ফল দিয়ে প্যাক তৈরি করা যায়।

ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে ত্বকের উপযোগী টোনার তৈরি করে নিন। তা হতে পারে শসার রস বা গোলাপজল। এ দুটো উপকরণই ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *