গরমে কি খাবেন কি খাবেন না

গ্রীষ্মকালে অসুস্থতার ভয়ে অনেকে বিভিন্ন খাবার এড়িয়ে চলেন। কেউ কেউ আবার এমন কিছু খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেন যেগুলি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালীন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডিহাইড্রেশন, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে শরীরের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রীষ্মকালে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার যোগ করা উচিত যেগুলি হালকা এবং সহজে হজম হয়। বিশেষ করে শরীরে যাতে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা না হয় এমন খাবার খাওয়া উচিত। 

গ্রীষ্মের সময় যদি ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে কিছু বিষয় অনুসরণ করা উচিত। যেমন-

১. রোদ থেকে ফিরেই ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ সূর্যের তাপে অনেকক্ষণ থাকার পর সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা পানি খেলে শরীরে শুষ্কতা দেখা দিতে পারে, গলার সমস্যা হতে পারে এবং হজমের সমস্যাও দেখা যায়।

২. খুব বেশি ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এতে থাকা ডাইইউরেটিক উপাদান শরীরে পানির মাত্রা কমিয়ে দেয়। এ কারণে গ্রীষ্মকালে খুব বেশি কফি বা চা খেলে মাথা ব্যথা হতে পারে এবং শরীরে পানির পরিমাণ কমে যেতে পারে।

৩. মিষ্টি পানীয়, কোল্ড ড্রিঙ্কস এবং বোতলজাত জ্যস এড়িয়ে চলুন। কারণ প্যাকেটজাত জুস এবং ঠাণ্ডা পানীয়ে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা সাময়িকভাবে আপনার শক্তিকে বাড়িয়ে তুললেও পরবর্তীতে তা ক্ষতিকারক হতে পারে। এক্ষেত্রে শরীর চাঙ্গা করতে প্রাকৃতিক চিনিসমৃদ্ধ তাজা ফলের রস খেতে পারেন।

৪. গ্রীষ্মকালে অনেকেই ওজন কমাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। দ্রুত ফলাফল পাওয়ার আশায় কেউ কেউ ভুল খাদ্যতালিকা অনুসরণ করেন। এমন হলে শরীর ক্লান্ত লাগে, মাথা ব্যথা, বমি ভাব এবং ডায়রিয়াও হতে পারে।

৫. নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ডিম, মাছ অথবা মুরগীর মাংস রাখুন। অনেকের ধারণা ,ডিম, মাছ এবং মুরগীর মাংস দেহে অত্যধিক তাপ উৎপন্ন করে । এ কারণে গরমের সময় অনেকেই এসব খাবার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এই তিনটি খাবারেই যথেষ্ট প্রোটিন রয়েছে যা গ্রীষ্মকালে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এ সময় রেড মিট এড়িয়ে চলা উচিত। 

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *