শিশুর জন্ডিস হলে করনীয়

সদ্য প্রসূত শিশুর জন্ডিস, বর্তমানে বহুল আলোচিত। যা শুনলেই চমকে উঠেন অভিভাবকেরা। জন্ডিস এর বাংলা শব্দ হলো ন্যাবা। অঞ্চল ভেদে কমলাও বলা হয়। যকৃতের পিত্ত নিঃসরণ ক্রিয়ার স্বল্পতা অথবা অবরুদ্ধতা বশত রক্তের পিত্ত মিশ্রিত হয়ে শারীরিক রক্ত মধ্যে সঞ্চালিত হয়ে শরীরস্থ চর্ম, চোখের শ্বেত বর্ণ স্থান মূত্র পীত বর্ণও হলুদে বা কমলা রঙের হলে ন্যাবা বা জন্ডিস বলে। ৬০ শতাংশ শিশুর জন্মের ১/২ সপ্তাহের মধ্যে জন্ডিস হয়ে থাকে।

যে ভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে : ১) জন্মের প্রথম সপ্তাহেই শিশুর দিকে খেয়াল রাখতে হবে তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন লক্ষিত হয় কিনা। ২) স্কিন হলদে দেখায় কিনা। ৩) শিশুর কপালে আঙুল দিয়ে আলতুভাবে চাপ দিয়ে উঠিয়ে নিন। যদি আঙুল উঠানোর পরে স্কিন হলদে দেখায় তবে বুঝতে হবে জন্ডিস হয়েছে। ৪) বাচ্ছা যদি বুকের দুধ খাওয়া ছেড়ে দেয়। ৫) শিশুর প্রস্রাব যদি হলুদ হয়। ৬) রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা যদি বেশি থাকে।৭) প্রিম্যাচিউর শিশু হলে। ৮) স্কিন সর্বদা হলুদ থাকলে।

কারণ : গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্ডিস থাকলে। 
মা ও সন্তানের রক্তের ভিন্নতার কারণে। মায়ের জন্ডিস বর্তমান থাকলে। বেবির লিভারে কোনো সমস্যা থাকলে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে।

চিকিৎসা : সকালের মিষ্টি রোদে প্রতিদিন কিছু সময় রাখা। এতেই অধিকাংশ শিশু ভালো হয়ে যায়। প্রয়োজনে ফটোথ্যারাপি দিতে হবে। লক্ষণ সাদৃশ্যে কিছু অতি সাধারণ হোমিও মেডিসিন ব্যবস্থা করে অতি দ্রুত এবং চমৎকার সাফল্য পাওয়া যায়। চেলিডোনিয়াম, চায়না, নাক্স, ইপিকাক, ব্রায়ুনিয়া, কার্ডুয়াস ইত্যাদি। 
সতর্কতা : যদি দীর্ঘ দিন স্থায়ী হয়। বিলিরুবিনের মাত্রা যদি খুব বেশি হয়। শিশু খাবার বন্ধ করে দিলে। খিচুনি থাকলে, অন্যান্য রোগের সহাবস্থান থাকলে। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আর মনে রাখবেন কোনোক্রমে মায়ের দুধ বন্ধ করবেন না।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *